শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

আইসিসিতে মিয়ানমারের বিচার চান আসিয়ানের ১৩২ এমপি
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশের ১৩২ জন মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালানোয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারের বিচার চেয়েছেন।

এক বছর আগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার পর এবারই প্রথম এতটা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিয়ানমারের সমালোচনা করলেন আঞ্চলিক নেতারা।

আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের সদস্যরা এক যৌথ বিবৃতিতে রাখাইন রাজ্যে হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে ‘বিচারের সম্মুখীন’ করার দাবি জানান।

এই ১৩২ জন এমপির পক্ষে মালয়েশিয়ার রাজনীতিবিদ চার্লস সান্তিয়াগো বলেন, ‘পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে মিয়ানমার নিজে তদন্ত করতে ইচ্ছুক নয় এবং তারা চাইলেও তা করতে পারবে না। এখন নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।’

বিবৃতিদাতা এমপি বা আইনপ্রণেতারা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও পূর্ব তিমুরের পার্লামেন্ট সদস্য। তাদের মধ্যে ২২ জন আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের (এপিএইচআর) সদস্য।

এতে বলা হয়, মিয়ানমার রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেনি। তাই রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় তাদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষমতা হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নেই। এ অবস্থায় কেবল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদই পারে আইসিসির মাধ্যমে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরুর ব্যবস্থা করতে।

‘মিয়ানমারে ওই ভয়ঙ্কর অপরাধের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এদের ছেড়ে দিয়ে ভবিষ্যতে আবারও একই ধরনের বর্বরতা ঘটানোর সুযোগ আমরা দিতে পারি না’ যোগ করেন সান্তিয়াগো।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানকেও এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিবৃতিদাতা এমপিরা।

আগামী বছর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে যোগ দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকার ও দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে ইন্দোনেশিয়া এবং আসিয়ানের প্রতিও আহ্বানও জানানো হয় বিবৃতিতে।

রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওই দমন-পীড়নের মুখে গতবছরের ২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ উঠে এসেছে তাদের কথায়।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা মিয়ানমারের বাহিনীর ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমার বলে আসছে, তাদের ওই লড়াই ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে, কোনো জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে নয়।