ইরান ইরাকের কয়েকটি শিয়া দলকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে হামলা ঠেকাতে তাদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এসব ক্ষেপণাস্ত্র শিয়া দলগুলোকে তাদের আঞ্চলিক শত্রুকে আঘাত করতেও সক্ষম করে তুলবে বলে জানায় ইরান, ইরাক ও পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন সূত্র।
ইরাকে আরও আক্রমণাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র কৌশল নিলে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের আরও অবনতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবছর মে মাসে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মনে করা হচ্ছে, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ইরানের এই পদক্ষেপে বিব্রত হবে। কারণ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপের এই দেশগুলো এখনো চুক্তিটি কার্যকর রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরানের তিনজন কর্মকর্তা ও দু’টি ইরাকি গোয়েন্দা সূত্র এবং দু’টি পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানায়, ইরান গত কয়েকমাসে ইরাকে তাদের সহযোগীদের কাছে স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল হস্তান্তর করেছে। এদের মধ্যে পাঁচজন কর্মকর্তা জানান ইরান এসব দলকে নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতেও সাহায্য করছে।
ইরানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘ইরান আক্রান্ত হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে। ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা বেশি নয়, মাত্র কয়েক ডজন। কিন্তু প্রয়োজনে এই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।’
আগে ইরান জানিয়েছিল, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি শুধু আত্মরক্ষার জন্য।
তবে ইরানের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেছে।
ইরাকের সরকার ও সামরিক বাহিনীও এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
ইরাককে দেয়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ২০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। ইরাকের পশ্চিম অথবা দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ছোঁড়া হলে এসব ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি আরবের রিয়াদ ও ইসরাইলের তেলাবিবে আঘাত হানতে পারবে।
ওই দুই অঞ্চলেই ইরানের ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ড কোর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দল দ্য কুদস ফোর্সের ঘাঁটি রয়েছে।