ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা ডা. লোটে শেরিং। তিনি ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এমবিবিএস পাস করে বাংলাদেশে জেনারেল সার্জারি বিষয়ে এফসিপিএস করেন। ২০১৩ সালে সিভিল সার্ভিস থেকে অব্যাহতি নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন লোটে শেরিং।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভুটানে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে তার ডিএনটি দল জয়লাভ করে চমক সৃষ্টি করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে প্রথম দফা নির্বাচনে হেরে ছিটকে পড়েন। অবশ্য তিনি পরাজয় মেনে নিয়েছেন। ডা. লোটে শেরিং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে ১৮ অক্টোবর।
জানা যায়, ভুটানে দুই দফায় ভোট হয়। প্রথম দফায় ভোটাররা রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট দেয়। দ্বিতীয় দফায় অর্থাৎ ডা. লোটে শেরিং মুখোমুখি হবেন ডিপিটির ফেনসাম সগবার। কিন্তু ইতোমধ্যে বিপুল ভোটে ডা. লোটে শেরিংয়ের ডিএনটি জয়ী হয়েছে।
ডা. লোটে শেরিংয়ের প্রোফাইলে শিক্ষাগত যোগ্যতার স্থানে এমবিবিএস ঢাকা ইউনিভার্সিটি লেখা, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। তিনি জেনারেল সার্জারিতে এফসিপিএসও করেছেন বাংলাদেশে।
যে দুই দল প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান পায় তারা পার্লামেন্টের ৪৭টি আসনে প্রার্থী দেয় এবং তখন দ্বিতীয় দফা ভোট হয়। এবারের প্রথম দফার ভোটে চারটি দল অংশ নেয়। প্রথম দফার মৌলিক নির্বাচনে বিস্ময়কর সাফল্য পান লোটে শেরিং।
রাজনীতিতে আসার আগে ডা. লোটে শেরিং জেডিডব্লিউএনআরএইচ অ্যান্ড মঙ্গার রিজিওনাল রেফারেল হসপিটালে কনসালট্যান্ট সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেডিডব্লিউএনআরএইচে ইউরোলজিস্ট কনসালট্যান্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং ২০১৮ সালের শুরুতেই দলের শীর্ষপর্যায়ে চলে আসেন ডা. লোটে শেরিং।