শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

নৌকা না পেলে নির্বাচন করবেন না ধানের শীষের এমপি সুলতান মনসুর



বিজ্ঞাপন

লাতু ডেস্ক:: মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি), আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এবার নৌকা প্রতীক না পেলে নির্বাচন করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন।

গত সোমবার বিকালে তিনি আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলাপচারিতায় বলেন, ‘আবার নৌকায় চড়তে হবে, এ জন্য পেতে হবে দলীয় মনোনয়ন। আমি আশাবাদী, এবার দল আমাকে মনোনয়ন দেবে, আবার আমি নৌকা নিয়ে লড়ব। নৌকা না পেলে নির্বাচন করব না।’

নৌকায় চড়েই সুলতান মনসুরের জাতীয় সংসদে অভিষেক হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুলতান মনসুর বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন।

গত নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলে সুলতান মনসুর জোটের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির নানা সমীকরণে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোটগত লড়াইয়ে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হন তিনি। কিন্তু সংসদে নিজের ভূমিকা ছিল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের মতো।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সুলতান মনসুর ধানের শীষের এমপি হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বের প্রতি ছিলেন অবিচল।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মনসুর আরও বলেন, ‘আমি ভীষণ আশাবাদী। এবার নৌকা প্রতীক আমিই পাব।’

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি ছাড়া মনোনয়নপত্রই কিনবো না।

সূত্র মতে, একাদশ সংসদের সমাপনী অধিবেশনের শেষ বৈঠকের ফাঁকে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখোমুখি হয়েছিলেন তার সাবেক কর্মী সুলতান মনসুর। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সংকেতও পেয়েছিলেন তিনি।

১৯৮৬ সালে সুলতান মনসুর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে নির্বাচিত হন ডাকসুর ভিপি। তার নেতৃত্বে নানা প্রতিকূলতা অগ্রাহ্য করে ডাকসু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি উন্মোচন করা হয়।