শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

পর্যটকদের মন কেড়েছে জুড়ীর ‘কাশ্মিরি টিলা’



বিজ্ঞাপন

সাইফুল্লাহ হাসান :: ঢেউ খেলানো টিলা আচ্ছাদিত করে রেখেছে সবুজ অরণ্য। মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শুকনা ছড়া এলাকার এই টিলা এখন মন কাড়ছে মানুষের।

ছুটির দিনগুলো ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসছেন এই স্থানটি দর্শনে। কখনো কখনো দর্শনার্থীদের ঢল নামছে। দর্শনার্থীরা মন কাড়া টিলার ওপর থেকে বিস্তৃত চারদিক দেখে মোহিত হচ্ছেন। তিন বছর ধরেই স্থানটি ‘কাশ্মিরি টিলা’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

স্থানীয় পরিবেশ কর্মী খোরশেদ আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, শাহীন আহমদ নামের এক সৌখিন পর্যটক ঘুরতে আসেন এই এলাকায়। তিনি একটি সাময়িকীতে এই টিলার সৌন্দর্য বলতে গিয়ে ‘কাশ্মিরি টিলা’ লিখেন। এরপর থেকেই আমরা এই টিলাকে ‘কাশ্মিরি টিলা’ বলে আসছি।

খোরশেদ আলম বলেন, জুড়ী উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন স্থানের মধ্যে ‘কাশ্মিরি টিলা’ অন্যতম। স্থানটি পরিবেশগত সৌন্দর্যের কারণেই একটি ভাল পর্যটন স্পট হিসেবে গণ্য হতে পারে। প্রতিদিনই স্থানটি দর্শনে বাইক নিয়ে শত শত পর্যটক ছুটে আসছেন।


বেড়াতে আসা পর্যটক জিল্লু আহমেদ বলেন, স্থানটি অবশ্যই প্রকৃতি প্রেমিকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষনীয়। আমার কাছে স্থানটি খুবই ভাল লেগেছে।

তরুণ লেখক আবিদ হোসেন বলেন, জায়গাটি অনেক সুন্দর। টিলার ওপরে উঠলে মনে হয় কাশ্মীরের কোথাও দাঁড়িয়ে আছি।

স্থানীয় সাংবাদিক আশরাফ আলী বলেন, জুড়ীতে অনেক পর্যটন স্পট রয়েছে। এগুলো যদি সঠিক পরিচর্যা করা যায় তাহলে এখান থেকে সরকারও একটি রাজস্ব আয় করবে। ‘কাশ্মিরি টিলা’ ইতোমধ্যেই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। এখানে আসলে টিলা, সারি সারি সবুজ গাছ ও পাখির কলকাকলীতে মন ভরে যায়।

যেভাবে যাবেন: মৌলভীবাজার থেকে জুড়ী বাজারে আসার পর উঠতে হবে কচুরগুল এলাকার গাড়িতে। পরে রাস্তায় নামতে হবে কালামাটি এলাকায় (সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার হবে)। সেখানে একটা চা স্টল আছে, ‘কাশ্মিরি টিলা’র কথা জিজ্ঞেস করলে মানুষ দেখিয়ে দিবে কোন দিকে যাওয়ার রাস্তা। হেঁটে যেতে হবে সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের রাস্তা। আর বাইকে অথবা একটা সিএনজি রিজার্ভ করে নিয়ে আসলে সরাসরি মূল জায়গাতেই যাওয়া যাবে।