হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। দু’পক্ষের বাগবিতণ্ডার ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় চকমপুরবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বানিয়াচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদ মোবারক সংঘর্ষের খবর নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চমকপুর বাজারে ঘর তুলতে যান ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলীর চাচাত ভাই লিয়াকতসহ তার গোষ্ঠীর লোকজন। ঘর নির্মাণকাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায় একই গ্রামের আলতাব আলীর গোষ্ঠীর লোকজন। এ নিয়ে আলতাব এবং লিয়াকতের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ দুই গোষ্ঠীর বাগবিতণ্ডার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের ভাতিজা শাবুল মিয়া। ভিডিও ধারণ করায় লিয়াকতের লোকরা ক্ষিপ্ত হয়ে শাবুলকে মারধর করে।
একপর্যায়ে লিয়াকত ও রেজাউল গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী বলেন, ‘আমি শুনেছি সংঘর্ষ হয়েছে। তবে আমি একটি মিটিংয়ে থাকায় বিস্তারিত খবর নিতে পারিনি। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি।
