হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে দুই কলেজছাত্রের বাক-বিতন্ডাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১২ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় অন্তত ১৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাঁকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন- ইউপি সদস্য মনসুর আলী (৩২), কুতুব আলী (৩০), হাসান মিয়া (২৫), সেকুল মিয়া (৩৫), ঘুলনেহার বেগম (৪০), জহির ইসলাম (৩০), ফজলুর রহমান (১৮), নজরুল মিয়া (৫২), মফিজুল আলম (২২), শরীফ মিয়া (২৫), মঈন উদ্দিন (৩০), আলিম (২৫), হুদয় (২০), তারেক শেখ (১৭), মাসেক মিয়া (৩০), টিটু (২২) নয়ন মণি খাঁ (৩০), হাসিয়া বেগম (৪০), ইলিয়াস মিয়া (৫৫), বাবুল (৩০), মনির হোসেন (২১), গোলাম রাব্বি (৪৮), আলমগীর মিয়া (২৫), ওসমান (৩৫)।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ফিরোজপুর গ্রামের বাসিন্দা আজমিরীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের দুই ছাত্র নাসির মিয়া ও কাপ্তান বিল্লাহর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বুধবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে নারীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
এদিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে চিকিৎসা নিতে এসে আবারও দুই পক্ষের লোকজন সংর্ঘে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ৬ দাঙ্গাবাজকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালে আসা অন্য রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও উপস্থিত জনতা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্র করেন।
আটককৃতরা হলেন- মুহিত মিয়া (৪৫), হাফিজ উদ্দিন (৩৫), এরশাদ আলী (২৮), মো. পারভেজ (২১), গণি মিয়া (৫০), মহসিন (৩০)।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তরফদার জানান- খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করে। এছাড়া হাসপাতালে সংঘর্ষে জড়ানোর কারণে ৬ দাঙ্গাবাজকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।
