শনিবার, ৪ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

ফেসবুক স্ট্যাটাসে দুর্নীতিবাজদের যে বার্তা দিলেন সাবেক ছাত্রনেতা জুয়েল



বিজ্ঞাপন

মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব মো. শাহাব উদ্দিনকে নিয়ে বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছালেহ্ আহমেদ জুয়েল তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে ফেসবুকে পোস্ট করা স্ট্যাটাসে তিনি শাহাব উদ্দিনের ব্যক্তিত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁর অনুগ্রহে আজ যারা নিজেদের প্রচন্ড ক্ষমতাধর ভাবছেন তাদেরকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। লাতু এক্সপ্রেস’র পাঠকদের জন্য ছালেহ্ আহমেদ জুয়েলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

জনাব, আলহাজ্ব মো. শাহাব উদ্দিন এমপি মহোদয়, উনি যে অত্যন্ত সৎ ব্যক্তি এটা সর্বজন স্বীকৃত। উনি উনার জীবনে কখনো মিথ্যা, দুর্নীতি, কিংবা কোনো ধরনের অসততাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেননি। উনার কোনো উচ্চবিলাসিতা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ক্ষমতার দম্ভ কোনো দিন দেখিনি। কোনোদিন বলতে শুনিনি যে, ‘আমাকে মন্ত্রী হতে হবে বা আরো বড় হতে হবে।’ উনি যা পেয়েছেন তাতেই তুষ্ট থাকতে দেখেছি। সরল, সাদামাটা জীবন যাপনে অব্যস্থ তিনি সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা ও জনগণের উপর আস্থা রেখে চলেন। এসব গুণের পুরষ্কার হিসাবে আজকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের তিনি মন্ত্রী হতে পেরেছেন। এটাকেও তিনি ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব হিসেবে দেখছেন।

অথচ আমরা যারা উনার দয়ায়, উনার অনুগ্রহে আজ নিজেকে প্রচন্ড ক্ষমতাধর ভাবছি, মানুষের আমানতের টাকা আত্মসাত করি, বিচারক হয়ে পক্ষপাত করি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে ঘুষের বিনিময়ে যোগ্যদের বাদ দিয়ে বহিরাগত অযোগ্যদের চাকরি দেই, সরকারী বিভিন্ন বরাদ্দ প্রাপ্যতা যাচাই না করে আত্মীয়দের মাঝে বন্টন করি, সরকারি প্রজেক্ট উপদেষ্টার পরামর্শে ভুয়া টেন্ডার, ভুয়া বিল দেখিয়ে আত্মসাত করি, সরকারি বরাদ্দকৃত ডিপ টিউবওয়েল, সৌর বিদ্যুৎ, ঢেউটিন বিক্রি করি। বিএনপি-জামায়াতের সাথে পার্টনারশীপ ব্যবসা করি, তাদেরকে দলীয় পদে বসাই। আমরা কী কখনো ভেবে দেখেছি যে- ১৯৯৬ সালে যারা এমপি সাহেবকে হত্যা করতে চেয়েছিল, আমার তাদের থেকে গর্হিত, নিচ, নিকৃষ্ট কাজে অবতীর্ণ!

উনার দেয়া বিশেষণ ব্যবহার করে উনার সাথে প্রতারণা উনার নীতি আদর্শকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন!!! আমরা কী ভেবে দেখেছি আমাদের পরিণতি ওই হত্যা চেষ্টার ষড়যন্ত্রকারীদের চেয়ে ভয়াবহ হবে না!?? ইতিহাস কি কাউকে ক্ষমা করে???

আমাদের এলাকায় এখন সাংবাদিক কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনদের আনাগোনা বেশি থাকবে। তাই আমাদের সকলের উচিত মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মানহানী হয়, দুর্নাম হয়- এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা এবং মন্ত্রী মহোদয়ের উপর অর্পিত গুরু-দায়িত্ব উনি যেন সুচারুরূপে পালন করতে পারেন, সে জন্য যার যার অবস্থান থেকে উনাকে সাহায্য-সহযোগিতা করা। একইসাথে সরকারে, প্রশাসনে, দলে, সমাজে ঘাপটি মেরে থাকা সমস্ত দুর্নীতিবাজ, দুষিত ব্যক্তিদের উৎখাত করা আর ভবিষ্যতে যেন এরকম কেউ সুযোগ না পায়, সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টিরাখা। মনে রাখা উচিত, আমাদের সকলেরই আমলনামা তৈরি আছে, সময় মতো জনসম্মুখে তা প্রকাশিত হবে।

তাই আসুন, আমরা নিজ দলের ক্ষমতালোভী, রাতারাতি কালো টাকার মালিক বনে যাওয়া, দুর্নীতিবাজদের বর্জন করি, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই!!

আর এর মাধ্যমেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা রেখেছেন আমাদের নেতার উপর, তার প্রতিদান হিসেবে সবাই মিলে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবো, ইন-শা-আল্লাহ।

যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ,
পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
জয় বাংলা।