আইয়ুব বাচ্চু রংপুরে শো করেছেন ১৬ তারিখ। তখন থেকেই বলছিলেন শরীরটা ভালো লাগছে না। তবে এমন খারাপ কিছু সেটা হয়তো কেউই আন্দাজ করেননি।
শো শেষে ঢাকায় ফিরে তার সহকারী রুবেলকে জানান শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। হাসপাতালে যাওয়া দরকার। বলতে বলতেই পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। রুবেল ধরতে গেলে তার কোলে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরেন আইয়ুব বাচ্চু। এরপরই চুপচাপ হয়ে যান। মুখে ফেনা বের হচ্ছিলো। রুবেল সঙ্গে সঙ্গে আইয়ুব বাচ্চুকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা জানান, তিনি হাসপাতালে আনার আগেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন।
৮ বছর ধরে আইয়ুব বাচ্চুর ছায়াসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন এই রুবেল। তার হাতেই থাকতো বাচ্চুর সারাদিনের কর্মসূচি।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে রুবেলের কান্না থামছেই না। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতেই পারছি না নিজেকে কীভাবে শান্ত রাখবো। তিনি আমার অভিভাবক, তিনি আমার বাবার মতো ছিলেন। কতো মানুষ স্বপ্ন দেখেছে আইয়ুব বাচ্চুকে এক নজর দেখবে বলে। আর তিনি আমাকে তার সঙ্গী করে নিয়েছিলেন। কত আদর, স্নেহ দিয়েছেন তিনি আমাকে। সেই তিনি আমার কোলেই ঢলে পড়লেন।’
প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ রুবেলের কান্নায় আকাশ ভারী উঠছিলো। তাকে সান্ত্বনা দেয়া যায় না, সান্ত্বনা দেয়ার নেইও কেউ। আইয়ুব বাচ্চুকে হারানো শোক উপস্থিত সবাইকে পাথর করে রেখেছে।