রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

লবিস্ট নিয়োগের টাকা কোথায় পায় বিএনপি, প্রশ্ন কাদেরের
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে কেন লবিস্ট নিয়োগ করা হলো। আমাদের চাপ দেওয়ার জন্য এটা করা হয়েছে। আমাদের শেকড় দুর্বল নয়। আমাদের শেকড় বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের বহু গভীরে। অন্য কারোর চাপে নতি স্বীকার করবো না, আমরা নতি স্বীকার করবো বাংলাদেশের মানুষের কাছে।

শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, চুক্তি অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া ‘ব্লু স্টার স্ট্র্যাটেজিক’কে আগস্ট মাসে ২০ হাজার ডলার এবং বছরের বাকি মাসগুলোয় ৩৫ হাজার ডলার করে দিতে হবে। বিএনপি এতো টাকা কোথায় থেকে পেলো? এতো টাকা লন্ডন থেকে এসেছে। লন্ডন মানে আপনারা বুঝতেই পারছেন ওখানে কে থাকে।

তিনি বলেন, লবিস্ট নিয়োগের কি আছে। বাংলাদেশ কি পাকিস্তান, সুদান, সোমালিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, ইয়েমেন ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া হয়ে গেছে যে লবিস্ট নিয়োগ করতে হবে।

জাতিসংঘে বিএনপি নালিশ করতে গেছে অভিযোগ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে। বিদেশি কোনো চাপ এদেশের জনগণ মানবে না। বিএনপির মহাসচিব গেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে দেখা করতে। কিন্তু আমার জানামতে জাতিসংঘ মহাসচিব এখন ঘানায় অবস্থান করছেন।

হাসপাতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাসপাতালে রাজনীতি করবেন না, হাসপাতালের বাইরে রাজনীতি করতে হবে। শুধু ভালো রেজাল্ট করলে হবে না , রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। অনেক ডাক্তার গ্রামে থাকতে চান না, এই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি চোরাই খায় না। সততাই বড় সম্পদ। কিছু লোক কঠোর পরিশ্রম করে টাকার জন্য। আমি কঠোর পরিশ্রম করি কাজকে ভালোবেসে। কেউ হতাশ হবেন না। জীবনই একটা চ্যালেঞ্জ। যে নদীতে ঢেউ নেই, সেটা নদী না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ডা. মো. ফজলুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. মো. এখলাসুর রহমান।

এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন- কলেজের চেয়ারম্যান ড. আনোয়ার হোমেন খান, অধ্যাপক সেলিম ফরহাদ সিদ্দিকা, অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক ও মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ড. কাজী মিলন প্রমুখ।