শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

প্রেমিকার প্রত্যাখান আর চাচার শাসন, কুলাউড়ায় যুবকের আত্মহত্যা
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

কুলাউড়ায় স্থানীয় সালিশে প্রকাশ্যে প্রেমিকার প্রত্যাখান আর চাচার শাসনে ক্ষিপ্ত হয়ে সাহেদ হোসেন (১৯) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। সাহেদ হোসেন উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের হাসন আলীর ছেলে। একটি গ্রাম্য শালিশের রাতেই কোন এক সময় অভিমান করে গাছের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় যুবকটি।

১৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের পাল্লাকান্দি চা বাগানের ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। পুলিশ দাবি করছে যুবকটি প্রেম সংঘটিত ঘটনায় আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এডিশনাল এসপি (কুলাউড়া সার্কেল) আবু ইউছুফ।

নিহত যুবকের প্যান্টের পকেটে হতে চার পৃষ্ঠার লেখা একটি চিরকুটও পেয়েছে পুলিশ। চিরকুটে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান কুলাউড়া থানার এসআই বাদল।

এদিকে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক একটি পক্ষ ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে খবর জানান স্থানীয়রা। একটি পক্ষ সালিশ উপস্থিত ব্যক্তিদের নামে মামলা করতে নিহতের পরিবারকে উস্কে দিচ্ছে।

একটি অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিহত সাহেদ হোসেনের সাথে একই গ্রামের একটি মেয়ের সাথে দীর্ঘ ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি উভয় পরিবার ভালো চোখে দেখেনি বিধায় ২০/২২ দিন আগে প্রেমিক-প্রেমিকা এক সাথে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করে।

আত্মহত্যার জন্য সাহেদ নিজ হাতে বিষের বোতল দিয়ে আসে মেয়েটিকে। পরক্ষণে মেয়েটি বিষপান করলেও সাহেদ বিষপান থেকে বিরত ছিল। অন্যদিকে মেয়েটি বিষপানে মারাত্মক অসুস্থ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত চিকিৎসা নিলে সুস্থ হয়ে উঠে মেয়েটি। এদিকে মেয়েটি বিষ পানের পর এলাকাজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।

মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের কাছে বিচার প্রার্থী হলে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের নিয়ে গ্রাম্য সালিশ অনুষ্ঠিত হয় গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে। সালিশে ছেলে-মেয়ের পক্ষ হতে প্রেমের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। পরে মেয়েটির চিকিৎসা খরচ হিসেবে ছেলে পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণের রায় দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ছেলেটির চাচা আছকির আলী সাহেদকে চড় থাপ্পড় মারেন আর এক বার কান ধরে উঠবস করান। সাথে এক সাথে আত্মহননের পরিকল্পনায় সাহেদ প্রতারণা করেছে জানিয়ে প্রকাশ্য প্রত্যাখান করে মেয়েটি।

এদিকে শালীস পরে রাতে কোন এক সময় চা বাগানে একটি গাছের সাথে দঁড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সাহেদ। ভোরে চা-বাগানের চৌকিদার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে আশপাশের লোকজনকে ডাকে। পরে পুলিশকে খবর দিলে এসআই বাদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।