বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিশ্বের জন্য রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বহু বছর ধরে দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাসের সম্পর্ক আজ এক অন্য রূপ লাভ করেছে। সারা বিশ্বের জন্য যা রোল মডেল। আমি প্রতিবেশি দেশ ভারতকে আমাদের উন্নয়নে সমর্থন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সোমবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রেলওয়ের দুটি প্রকল্প এবং আন্তঃবিদ্যুৎ সংযোগ গ্রিড এইচভিডিসি (২য় ব্লক) প্রকল্পের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সরাসরি এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন শেখ হাসিনা।

এ সময় দুই দেশের সরকার প্রধান, নিজেদের অভিন্ন স্বার্থ; পারস্পরিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান সৌহার্দ্যের চিত্র তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে প্রত্যাশা রাখেন সৌহার্দ্যের এ সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘ওই সহযোগিতাকে আমরা সব সময় স্মরণ করি। এটি দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বিস্তৃত হয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে আমাদের সম্পর্ক এখন মহাকাশ গবেষণা পর্যন্ত সম্পর্ক বিস্তৃত হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে সামনের দিনগুলোতে এ বন্ধন আরো শক্ত হবে।

আগামীতে ভারত থেকে আরো বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরো তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আমাদের বিদ্যুৎ প্রযোজন। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছি।

‘আমি প্রত্যাশা করি বাংলাদেশ-ভারত সামনের দিনগুলোতে আরো মধুর হবে। আমাদের দীর্ঘদিনের অনেক সমস্যা সমাধান করতে সমর্থ হয়েছি। আগামীতে এ সহযোগিতার বন্ধন অটুট থাকবে বলে বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমার ভালো লাগছে। প্রতিবেশির সঙ্গে প্রতিবেশিরইতো সম্পর্কই থাকবে। এখানে প্রটোকলের প্রয়োজন নেই। ২০১৫ সালে যখন বাংলাদেশে তখন বলেছিলাম ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেবো। এখন আমি বিশ্বাস করি, এ মেগাওয়াট থেকে এটা গিগাওয়াটে উন্নিত হবে।