রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখায় গৃহবধূ পারভিন হত্যা, স্বামী ফের রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক



বিজ্ঞাপন

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গৃহবধূ পারভিন বেগম হত্যা মামলায় গ্রেফতার নিহতের স্বামী ময়নুল ইসলামকে ফের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২৯ আগস্ট বুধবার বিকেলে ময়নুলকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়। এর আগে গত ২ আগস্ট পুলিশ ময়নুল ইসলামকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিলেও গৃহবধূ পারভিন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি। পরে মামলাটি তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলী গোপাল দত্ত বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, গৃহবধূ পারভিন বেগমের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৌলভীবাজার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান আহমদ বুধবার বিকেলে বড়লেখা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. হাসান জামানের আদালতে নিহতের স্বামী ময়নুল ইসলামকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার গ্রামতলা এলাকার আত্তর আলীর মেয়ে পারভিন বেগমের সঙ্গে প্রায় ৮-১০ বছর আগে পৌরশহরের পাখিয়ালা এলাকার মুতলিব আলীর ছেলে ময়নুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ময়নুল শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। পরিবারে তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রায় তিনমাস আগে ময়নুল স্ত্রী পারভিনসহ সন্তানদের নিয়ে নিজের বাড়িতে যান। বাড়িতে ময়নুলের মা-ভাই-বোন থাকলেও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি আলাদা থাকতেন। গত ২১ জুলাই রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরদিন ২২ জুলাই সকালে পারভিনের স্বামী ময়নুল তাঁর স্ত্রীর বড়বোন আছমা আক্তারকে মুঠোফোনে জানান পারভিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আছমা দ্রুত সেখানে গিয়ে পারভিনের লাশ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্বজনরা পারভিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।