এ.জে লাভলু:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রতিবছর শেষ মুহূর্তে উপজেলার পশুর হাটগুলোতে গরু-ছাগল বেচাকেনার ধুম পড়ে। তবে এবার হাটগুলোর চিত্র একেবারেই ভিন্ন। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও বিকিকিনি তেমন নেই বললে চলে। যার কারণে অনেকে বিক্রেতা গরু বিক্রি না করেই হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি হাটে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের গরু উঠেছে। এসব হাটে দেশিয় গরুর পাশাপাশি আছে ভারতীয় গরু। তবে হাটগুলোতে ক্রেতা অনেকটা কম। যার কারণেই অনেকে বিক্রেতা গরু বিক্রি না করেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ কম দামে গরু বিক্রি করছেন। তবে কেউ আবার গরু বিক্রির জন্য মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন।
বোবারতল থেকে বড়লেখা পশুরহাটে আসা বিক্রেতা সেলিম উদ্দিন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় বলেন, ‘এবার গরুর দাম কম। দুটি গরু নিয়ে এসেছি। এখনও বিক্রি করতে পারেনি। ভালো দাম মিলছে না। ভালো দাম না পাওয়ায় অনেকে গরু বিক্রি না করে চলে গেছেন। আমিও চলে যাচ্ছি।’
জুড়ীর থেকে বড়লেখা পশুরহাটে আসা লোকমান আহমদ নামে এক বিক্রেতা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় বলেন, ‘১৫টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। এরমধ্যে মাত্র ৫টি গরু বক্রি করেছি। এগুলো কম দামে বিক্রি করেছি। এবার দাম আশানুরুপ মিলছে না। শেষ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করব।’
জয় আহমদ নামে এক বিক্রেতা বলেন, ‘বিকি-কিনি কম। আমার একটি মাত্র গরু। আগেরদিন ৫৫ হাজার টাকা দাম হয়েছিল। বিক্রি করিনি। ভেবেছিলাম শেষ সময়ে ভাল দাম মিলবে। কিন্তু আজ কেউ ৫০ হাজার টাকার উপরেও দাম করছে না। ভালো দাম পেলে বিক্রি করব, না হলে ফিরে যাব।’