বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সুনামগঞ্জে কৃষক হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট



বিজ্ঞাপন

সুনামগঞ্জে কৃষক আব্দুল করিম হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তের নাম- ইদ্রিস মিয়া (৩৬)। ১৩ আগস্ট সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। এই মামলায় ছোট ভাই বাবুল মিয়াকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং নজরুল ইসলাম নামের একজনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইদ্রিস মিয়া ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাবুল মিয়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে। এ মামলায় বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ ছইল মিয়া। বাদী পক্ষে প্রদীপ কুমার নাগ এবং খালাসপ্রাপ্তের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী। মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন প্রাপ্তের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আমিরুল হক।

আদালত সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল করিমের সঙ্গে একই গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

এর জের ধরে ২০১০ সালের ২ আগস্ট সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ইদ্রিস মিয়া ও তার ভাই বাবুল মিয়া গ্রামের রাস্তায় আব্দুল করিমকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে কৃষক আব্দুল করিমের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় আব্দুল করিমের ভাই বাদী হয়ে ওইদিন রাতে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ইদ্রিস মিয়া, বাবুল মিয়া ও নজরুল ইসলামসহ ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি ইদ্রিস মিয়া, বাবুল মিয়া ও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এবং অভিযুক্ত অন্য ৭ আসামিকে ননসেন্টআপ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ইদ্রিস মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তার ছোট ভাই বাবুল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান এবং নজরুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেন।