জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের অবস্থানকে ‘গণতন্ত্রের সৌন্দর্য’ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তো পাঁচজনকে নিয়ে। পাঁচজনের মধ্যে একজন নোট অফ ডিসেন্ট দিতেই পারেন। ভিন্নমত থাকতেই পারে। এটাই তো গণতন্ত্রের বিউটি (সৌন্দর্য)।
মন্ত্রী শুক্রবার সিলেট সার্কিট হাউজে এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনেও গণতন্ত্র আছে। নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার অধিকার তার (নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার) আছে। তিনি দিয়েছেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যাদের শক্তি, সামর্থ আছে, জনগণের প্রতি আস্থা আছে, জন সমর্থনের ব্যাপারে যারা কনফিডেন্ট, তারা এত শর্ত আরোপ করে না।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচন ২০১৮ সালে করার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে এই নীল নকশার নির্বাচন দেশে আর হতে দেওয়া হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে আর আসবে না। নির্দিষ্ট একটা দলের জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির অধিকার, সুযোগ নয়। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার কোনো দলকে সুযোগ দেয় না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, একেএম এনামূল হক শামীম, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
