রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

উইঘুর মুসলিমদের আটকে রাখায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

একইসঙ্গে বিশ্বসংস্থাটি সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতার নামে যাদের আটকে রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।

প্রায় ১০ লাখ মুসলিম উইঘুরকে জিনজিয়াং প্রদেশে ‘রি-এডুকেশন বা পুনরায় শিক্ষা দেয়ার ক্যাম্পে’ আটকে রাখার বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনের পর জাতিসংঘের একটি কমিটি এ বিবৃতি দিল।

বেইজিং এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে তারাও বলছে, কিছু ধর্মীয় চরমপন্থীকে রি-এডুকেশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।

চীন ওই অঞ্চলে অস্থিরতার জন্য মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে আসছে।

চলতি মাসের শুরুতে একটি পুনঃমূল্যায়নের সময় জাতিসংঘের একটি কমিটি জানায়, বেইজিং ‘স্বশাসিত উইঘুর অঞ্চলকে বিশাল একটি বিশাল বন্দিশিবিরে পরিণত করেছে’ বলে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।

জবাবে চীন জানায়, উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকেরা পূর্ণ অধিকার ভোগ করছে। কিন্তু, একইসঙ্গে তারা বিরল এক স্বীকারোক্তিতে বলে, ‘ধর্মীয় চরমপন্থীদের দ্বারা প্রতারিতদের পুনর্বাসন ও পুনরায় শিক্ষিত করে তোলা হবে।’

বেশ কয়েক বছর ধরে জিনজিয়াংয়ে বিভিন্ন অভিযানের সময় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ তাদের চূড়ান্ত মন্তব্যে ‘চীনের আইনে সন্ত্রাসবাদের ঢালাও সংজ্ঞা, চরমপন্থার সম্পর্কে অস্পষ্ট মন্তব্য বিচ্ছিন্নতাবাদের অস্পষ্ট সংজ্ঞার’ সমালোচনা করে।

আইনসিদ্ধ অভিযোগ, বিচার ও সাজা ছাড়া কাউকে আটকে রাখার প্রথা বন্ধ এবং এই অবস্থায় যাদের আটকে রাখা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

একইসঙ্গে আটকদের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ এবং ধর্ম-বর্ণ ও জাতির ভিত্তিতে বৈষম্যের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।