একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন। এ খবরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এ আসন থেকেই আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করতে রাজি হয়েছেন। এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এড. মাহবুব আলী সহ প্রায় এক ডজন প্রার্থী এতদিন মনোনয়নের প্রত্যাশা নিয়ে মাঠ চষে বেড়িয়েছেন।
তবে হঠাৎ করে মাধবপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামের কৃতি সন্তান বঙ্গবন্ধুর সাবেক একান্ত সচিব হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক গভর্নর, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ফরাসউদ্দিন প্রার্থী হওয়ার সংবাদে অন্য প্রার্থীরা চিন্তার মধ্যে পড়েছেন।
এ আসনে এডভোকেট মাহবুব আলীসহ প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন- মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহ মো. মুসলিম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী পুত্র নিজামুল হক রানা, যুদ্ধপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, আরিফুল হাই রাজীব, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. আকবর হোসেন জিতু, সেক্রেটারি চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান তাহের মিয়া, দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী, সৈয়দ মুনির, মিছির আলী প্রমুখ।
তবে এ আসনে ড. ফরাসউদ্দিন প্রার্থী হলে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নির্বাচন করবেন না বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ড. ফরাস উদ্দিনকে এ আসন থেকে মনোনয়ন পেলে দলে আর কোন কোন্দল থাকবে না। সবাই তাকে জয়ী করার জন্য ভোটযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।
এছাড়া তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারে অর্থমন্ত্রী হবেন এমন খবরে মাধবপুর-চুনারুঘাট ও চা বাগানবাসীর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, ১১ই নভেম্বর তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন। এছাড়া দল তাকে এ আসনে মনোনয়ন দিলে
তার নিজ এলাকা মাধবপুর-চুনারুঘাট থেকে নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর রোববার। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর সোমবার। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার।