রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখায় যুবদল নেতা নোমান হত্যায় জড়িত ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি গ্রেপ্তার



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হেলাল আহমদ (৪৭)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সুজানগর ইউনিয়নের বাড্ডা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হেলালকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। হেলাল সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে।

সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ বলেন, সুজানগর ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে একই ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি হেলাল আহমদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবল চন্দ্র সরকার মঙ্গলবার রাতে বলেন, যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানকালে নোমান হত্যাকাণ্ডে হেলাল আহমদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তদন্তেও প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় হেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

জানা গেছে, যুবদল নেতা নোমান হোসেন রায়হান আহমদ রেহানের নিকট আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পান। সেই টাকা চাওয়ার জেরে গত ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ রেহান গং উপজেলার বাড্ডা বাজারে যুবদল নেতা নোমানকে ছুরিকাঘাতে করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নোমানকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এই ঘটনায় নিহত নোমানের বাবা লেচু মিয়া গত ২০ জানুয়ারি বাদি হয়ে দশঘরি গ্রামের মারজান আহমদ, কালাইউরা গ্রামের রায়হান আহমদ রেহান, দশঘরি গ্রামের আবেদ আহমদ, নাঈম আহমদ ও জাকির আহমদের নামোল্লেখ এবং ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। গত ২২ জানুয়ারি মামলার আসামি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ রেহানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।