বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

শাহবাজপুর কলেজে শিক্ষার্থী সংবধর্নায় নাচ-গানের ভিডিও ভাইরাল : নিন্দার ঝড়



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখার শাহবাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় আ্যন্ড কলেজের শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ‘বুক চিন চিন করছে হায়, মন তোমায় কাছে চায়’ গানের সঙ্গে শিক্ষকদের টালমাটাল নৃত্য প্রদর্শনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বইছে।

গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানের গত বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে আপত্তিকর গান ও নৃত্য পরিবেশনের এই ঘটনাটি ঘটে। শিক্ষকের এমন বিতর্কিত নাচের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল। এক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়।

জানা গেছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে শিক্ষক ডিজে পার্টির স্টাইলে গানের তালে-তালে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে নাচ প্রদর্শন করেন। পরে এ নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা এবং নিন্দা জ্ঞাপন করেন অনেকেই।

অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকদের এমন আপত্তিকর নাচ-গান আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অপসংস্কৃতির দিকে ধাবিত করবে এবং তাদের মাঝে উশৃঙ্খলতা দেখা দেবে। তাদের কাছ থেকে কি শিখবে আমাদের সন্তানরা? বিষটি খুবই আপত্তিকর। এলাকার সুশীল সমাজের লোকজনও ব্যাপারটা ভিন্নভাবে নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন জানান, স্যার আমাদের ওই অনুষ্ঠানে আনন্দ দেওয়ার জন্য নাচ করেছেন। কিন্তু সমাজ ও আমাদের অভিভাবকরা বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না।

নাচের ভিডিওতে ভাইরাল কলেজ শিক্ষক রান্টু বিশ্বাস শনিবার বিকেলে বলেন, বিনোদনের জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধে আমি অনুষ্ঠানে নেচেছিলাম আমার সাথে রেজাউল স্যার ও মাসুদ করিম স্যার ছিলেন। কিন্তু তারা হয়তো নাচানাচি করেননি, পাশে থেকে হাততালি দিয়েছিলেন। আমি হয়তো একটু বেশী নাচানাচি করেছিলাম। বিষয়টি এভাবে ছড়াবে আমি বুঝতে পারিনি।

কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাছিত বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পরই অতিথিদের তাড়া থাকায় আমি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পূর্বেই অতিথিদের সাথে বের হয়ে গিয়েছিলাম। নাচানাচির সময় আমি স্ব-শরীরে উপস্থিত ছিলাম না। পরবর্তী সময় সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি জেনেছি। নতুন শিক্ষক রান্টু স্যার ঢাকার কালচারের সাথে বড় হয়েছেন। তাই বিষয়টি বুঝতে না পেরে শিক্ষার্থীদের অনুরোধে নাচ প্রদর্শন করেন। স্টাফ মিটিংয়ে আমরা তাকে সর্তক করবো, এ ধরনের ঘটনা যেনো আর কখনো না ঘটান।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপত্তিকর গান ও নৃত্য পরিবেশন খুবই দুঃখজনক। তিনি এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তবে খোঁজ নেবেন।