কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলাই নদীর বালুমহাল ইজারাদারদের কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবী ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমিনুল ইসলাম হিমেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
ইজারাদারদের অভিযোগ, হিমেল কোনো গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট না হলেও নিজের ফেইসবুকে মনগড়া তথ্য প্রচার করে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি ও ব্যবসায়িক ক্ষতি করছেন। এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই ঘটনায় তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বালু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদী চলতি বছরে জেলা প্রশাসক কর্তৃক ইজারা প্রদান করা হয় মেসার্স হোসনে আরা এন্টারপ্রাইজকে। এর প্রোপাইটার আবুল বশর জিল্লুল সর্বোচ্চ দর পত্রের মাধ্যমে ইজারা গ্রহণ করেন উপজেলার চৈত্রঘাট, ধরমপুর ও আলপুর কুমড়াকাপন। ধরমপুর মৌজার এস দাগ ৩৯৯৬ জায়গার মধ্যে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আমিনুল ইসলাম হিমেলের বাড়ির পাশে হওয়ায় বালু উত্তলনের সাথে তার চাচা সামসুদ মিয়া ও তার ভাই নাজমুল ও স্বজনরা দীর্ঘ দিন ধরে জড়িত রয়েছেন। সম্প্রতি তার বাড়ি ভেঙ্গে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন উপায়ে বালু উত্তলনে কাজে নিয়োজিত আব্দুল হামিদের সাথে মিলে হিমেলের ছোট ভাই নাজমুল টাকার বিনিময়ে তার নিজের সম্মতিতে বালু উত্তোলনের মিশিন বসায়। কিন্তু তাদের মধ্যে বালু উত্তোলনের টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তাদের নিজেদের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে পুনরায় আবার হামিদের কাছে সাংবাদিক পরিচিয়দানকারী হিমেলের ভাই নাজমুল টাকা চাইলে বালু থেকে টাকা না দেওয়ায় ইজারাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য নিজের ফেইসবুকে সংবাদ আকারে প্রকাশ করেন।
গত বছর বালু মহাল ইজারা নিয়েছিলেন ইজারাদার আনোয়ার হোসেন। তিনি হিমেলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার লিজ থাকাকালীন সময় হিমেলে তাদের বাড়ী পাশে হওয়ায় বিভিন্ন উপায়ে টাকা আদায় করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বৈধ ভাবে বালু উত্তলন করছি। এর পরেও একটি মহল বিভিন্ন ভাবে চাঁদা দাবী করছে।
ধরমপুর বালু ঘাটের দায়িত্বশীল আব্দুল হামিদ বলেন, হিমেলের ভাই নাজমুলকে আমরা প্রথমে ১০ হাজার এর পর ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন আমাদের কাছে আবার ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আমিনুল ইসলাম হিমেল বলেন, আমার ভাই টাকা নিছে কি না আমি জানি না। আমি টাকা কখনও দাবি করিনি। আমার জায়গার জন্য টাকা দাবি করেছি। আমার বাড়ির পাশে থেকে বালু উত্তলন করায় আমাদের ঘরের ক্ষতি হচ্ছে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলার বালু মহালদার আবুল কালাম, লুৎফুর রহমান, হুরুদ আহমেদ, লুকমান মিয়া ও বাবর আহমেদ বলেন, আমিনুল ইসলামের মতো চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা না নিলে ব্যবসা করা কঠিন হবে। এভাবে চললে এই বালুমহল কেউ ইজারা নিবে না। এতে সরকার অনেক টাকা রাজস্ব হারাবে।
এ বিষয়ে বালুর ইজারাদার শহীদনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল বশর জিল্লুল বলেন, আমরা সকল আইন মেনে বালু উত্তলন করছি। হিমেলের ভাই নাজমুলকে সমন্বয় করে আমাদের পরিচালক আব্দুল হামিদ বালু উত্তলন করছে। সম্প্রতি কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালাচ্ছে এবং আমার মানহানি হচ্ছে। আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।