রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখায় দিনমজুর রিয়াজ হত্যাকাণ্ড প্রধান আসামিসহ ৫ জন রিমান্ডে



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দিনমজুর রিয়াজ উদ্দিন (২৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ পারভেজ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক মামলার প্রধান আসামি আজমিরীগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম ওরফে ইমনের ৪ দিনের রিমান্ড এবং একই এলাকার মো. আলমঙ্গীর মিয়া, মো. শাহ আলী, মো. আসাবুল ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরের মো. হুমায়ুনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা সকলে বড়লেখায় ভাঙ্গারি ব্যবসার সাথে যুক্ত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দিনমজুরকে হত্যা করা হয়েছে না-কি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে; তার রহস্য উদঘাটনে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত একজনের ৪ দিনের ও চারজনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ দোহালিয়া গ্রামের মৃত ফরিদ আলীর ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৩০) রাজমিস্ত্রীর কাজসহ দিনমজুরির কাজ করে স্ত্রী ও মাসহ জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাঙ্গারির দোকানে বস্তা উঠানোর কাজ আছে বলে রতুলী বাজারের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি থেকে বের হন। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের মাধবছড়া ব্রিজের প্রায় ১৫০ গজ পশ্চিম দিকে ছড়ার তীরের কৃষিজমিতে স্থানীয় কৃষকেরা বুধবার সকালে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াদৌস হাসান, সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান, স্থানীয় দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে নিহতের মা খনাবি বেগম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা খনাবি বেগম। ঘটনার পরই বড়লেখা থানা পুলিশ ক্লুলেস ওই হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য তৎপরতা শুরু করে। হত্যাকান্ডের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে র‌্যাবের সহায়তায় ঢাকা থেকে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটনায় জড়িত আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।