শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সিলেটে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তুলকালাম, আটক ২



বিজ্ঞাপন

সিলেট প্রতিনিধি:: সিলেটে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোরআন শরীফ পুড়িয়ে ফেলার বিষয়টি স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে- আটক দু’জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে গত রোববার রাতে এ ঘটনায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটে নগরের আখালিয়াস্থ ধানুপাড়া আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ও আশপাশ এলাকায়। হাজার হাজার জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওই স্কুল ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে জনতাকে সরিয়ে ওই দু’ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই স্কুলের সামনে কোরআন শরীফ পোড়ানোর দৃশ্য দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এবং কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ওই স্কুলের চেয়ারম্যান নুরুর রহমান ও শিক্ষক মাহবুবুল আলমকে গণপিটুনি দেয়। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিসুর রহমান কামরান ও পুলিশ গিয়ে তাদের জনতার হাত ধরে উদ্ধার করে স্কুলের একটি কক্ষে আটকে রাখেন।

এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে রাতে হাজারো জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলের সামনে অবস্থান নেয়। এবং অভিযুক্ত দু’জনের শাস্তির দাবি করেন। এ সময় পুলিশ আটক দুই অভিযুক্তকে নিয়ে থানায় আসতে চাইলে জনতা বাধা দেয়।

এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আটক দু’ব্যক্তিকে নিয়ে থানায় চলে আসে। এর আগে জনতা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কেও অবস্থান নিয়েছিলো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা রাত ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন- কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় আটক দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোতোয়ালি থানার ওসি আলী মো. মাহমুদ জানিয়েছেন- এ ঘটনায় আটক দু’জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রোববার রাতের ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।