শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

জুড়ীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মীকে বহিষ্কার



বিজ্ঞাপন

জুড়ী প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সাত জন নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন ) রাতে পাওয়া সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যটি জানানো হয়েছে।

বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা হলেন, উপজেলা সদরে অবস্থিত তৈয়বুন্নেছা খানম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য হুমায়ুন রশীদ, আসরাফ উদ্দিন, আলিম উদ্দিন ও মামুন আহমদ এবং সংগঠনের কর্মী হৃদয় আহমদ। তাঁরা উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বলের অনুসারী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠন ও শৃঙ্খলাবিরোধী, অপরাধমূলক, সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়, এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

গণমাধ্যমকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সাত জন নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। সাদ্দাম হোসেন জানান, জুড়ীতে সম্প্রতি দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ৭ জুন দুপুর ২টায় জুড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদ্যবিলুপ্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল গ্রুপের নেতা হুমায়ুন রশীদের নেতৃত্বে ১৫-২০টি মটরসাইকেল নিয়ে একটি মিছিল উপজেলার চৌমুহনী থেকে ভবানীগঞ্জ বাজারস্থ নিউমার্কেট এলাকায় আসে।

অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল গ্রুপের নেতা জায়ফরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মিছিল জুড়ী কলেজ থেকে নিউমার্কেট আসে। মিছিল দুটি একই এলাকায় এসে পৌঁছালে দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুপক্ষের নেতাকর্মীরা। তখন উভয়ের পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে শ্রমিকসহ উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন।

সংঘর্ষের সময় পরিবহন শ্রমিকদের ওপর হামলা ও দুটি অটোরিকশা ভাংচুরের অভিযোগে উত্তেজিত শ্রমিকরা জুড়ি-লাঠিটিলা সড়কটি আধাঘন্টা অবরোধ করেন। এসময় ছাত্রলীগের অনেক নেতাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র থাকায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ১১ জুন উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুই পক্ষের বিরোধ সমাধানে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতার বাড়িতে সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিংকু রঞ্জন দাসসহ কয়েক জন নেতা এবং ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র তিন দিনের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে জমা দিতে বলা হয়।