শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখায় আ.লীগ নেতার বাড়িতে হামলা, আহত ৬



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আদালতে বিচারাধীন একটি মামলার আপস মীমাংসার বৈঠকে সালিশ সদস্যের ওপর আপত্তি দেওয়ার আক্রোশে ওই সালিশ সদস্য সঙ্গবদ্ধভাবে আপত্তিকারীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হামলায় উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী আব্দুল কাদির ও মায়ের কোলে থাকা দুই শিশুসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতে উপজেলার তালিমপুর গ্রামে আহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদিরের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

হামলায় আহত অন্যরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদিরের ছেলে মাহী হাসান নিলয়, স্ত্রী মাছুমা আক্তার, পুত্রবধু মনিরা আহমদ মুনা ও দুই বছর বয়সী দুই শিশু সন্তান।

এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আহত আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মাহি হাসান নিলয় বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত সালিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ আট জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

জানা গেছে, তালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন ও আবু বক্করের মধ্যে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলার আপোস মীমাংসার জন্য বুধবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদিরের বাড়িতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আব্দুল কাদির একপক্ষের হয়ে উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উশৃঙ্খল আচরণ ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে তিনি সালিশ বোর্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ওপর অনাস্থা দেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর আলম অশ্লীল গালিগালাজ করে বৈঠক থেকে বেরিয়ে আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আব্দুল কাদিরের বাড়িতে প্রবেশ করে তাদের ওপর হামলা চালান এবং দরজা জানালা, গ্রীল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।

আহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদির জানান, সালিশ সদস্য সৎ, নিরপেক্ষ ও ক্লিন ইমেজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হওয়ার কথা। জাহাঙ্গীর আলম চিহ্নিত চোরাকারবারী ও মাদক ব্যবসায়ী। চোরাচালানের পণ্যসহ একাধিক বার সে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল কেটেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এরপরও সংশ্লিষ্ট পক্ষ মেনে নেন। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম বৈঠকে বসেই প্রকাশ্যে উশৃঙ্খল আচরণ ও পক্ষপাতিত্ব শুরু করেন। আমি একপক্ষের মানিত ব্যক্তি হিসেবে ন্যায় বিচারের স্বার্থে জাহাঙ্গীর আলমের ওপর আপত্তি জানিয়ে তাকে বিচারে না রাখার দাবী জানাই। এরপরই সে তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমার পরিবারের ৬ ব্যক্তি আহত হই। এসময় জাহাঙ্গীর আলম ও সহযোগিরা মহিলাদের শ্লীলতাহানী ও মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার লুটপাট করেছে।

বড়লেখা থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলা ও ভাঙচুরের কিছু আলামত উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আহত মাহী হাসান নিলয় ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ যথযত আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।