নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় গাঁজাসহ সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে নিয়ে আসায় বজিটিলা মাজার সংলগ্ন শাহ সুফি জোবেদ আলী মসজিদের ইমাম নুর উদ্দিনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের মনতৈল এলাকার বজিটিঁলা মাজারে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুফি জোবেদ আলী মসজিদের ইমাম জোহরের নামাজের পর মাজারের কাছে একটি জায়গায় নফল নামাজ পড়ে দোয়া করছেন। দোয়ারত অবস্থায় ভোগতেরা এলাকার কাঠমিস্ত্রী শাহ আলম আরও দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে ইমামকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এতে ইমামের হাতের রগ কেটে যায় ও বুকে আঘাত পান। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।
মসজিদের ইমাম নুর উদ্দিন জানান, শাহ আলম প্রথমে আমাকে থাপ্পড় মেরে বলে তুই মসজিদের চাকরি ছাড়বি কিনা বল? এই বলে সে খুরের মধ্যে ব্লেড লাগায়। পরে খুর দিয়ে আমার গলা লক্ষ্যে আঘাত করতে চাইলে আমি হাত দিয়ে প্রতিহত করি। এতে আমার দু’হাতের রগ কেটে যায়। এ সময় তার সঙ্গী দু’জনের একজন আবারও আমাকে খুর দিয়ে আঘাত করে। আমি তখন জীবন বাঁচাতে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে আসি। এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
মসজিদের ইমাম আরও জানান, কয়েকদিনে আগে তিনি মাজারের খাদেম সিদ্দেক আলীর ঘর থেকে গাঁজাসহ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে কমিটির সভাপতির কাছে দেন। হামলার সময় উদ্ধারকৃত গাঁজা ও সরঞ্জামাদি চায় তারা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মাজারের খাদেমসহ কয়েকজন গাঁজা সেবন করেন। মূলত গাঁজা উদ্ধার করায় এই হামলা চালানো হয়েছে।
মাজারের খাদেম সিদ্দেক আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রতিদিন এশার নামাজের পর একটু গাঁজা খাই। তবে ইমামের ঘটনার ব্যাপারে কিছু জানি না। আামাকে ফাঁসাতে এ ঘটনার সাথে জড়ানো হচ্ছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, ইমামকে মসজিদের ২০ গজ দূর রওজার পাশে খুর দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে আমরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। পুলিশকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। আগামীকাল মামলা করব।
মসজিদের সভাপতি আরও জানান, চার মাস থেকে ইমাম এই মসজিদে আছেন। ইমামের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার নমৌজা এলাকার সঞ্জরপুর গ্রামে।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী রাত ১২টায় জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।