রবিবার, ১২ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

হবিগঞ্জে কোরবানির পশু নিয়ে ত্রিমুখী শঙ্কায় খামারিরা
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা বছর গরু মোটা-তাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন হবিগঞ্জের খামারিরা। এ বছরও খামারিরা গরু মোটা তাজাকরণে শ্রম দিয়েছেন সারা বছর। ফলও পেয়েছেন ভালো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে ত্রিমুখী শঙ্কা ঘিরে ধরেছে তাদের।


বৈশ্বিক মহামারি করোনায় বাজার বসবে কি-না? বাজার বসলেও করোনার ক্রান্তিকালে সঠিক দাম পাওয়া যাবে কি-না? আর প্রতি বছরের মতো এ বছরও গলার কাটা হয়ে দাঁড়াবে কি ভারতীয় গরু? মনের মধ্যে এমন তিন প্রশ্নে দিশেহারা খামারিরা। সেই সাথে গরুর হাটে করোনা সংক্রমণের ভয়ও কাজ করছে তাদের মনে। তবে প্রাণী সম্পদ অধিদফতর বলছে পশুর হাট বসানো নিয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এ বছর হবিগঞ্জ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার খামারে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য লালন পালন করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে হাওরের ও পাহাড়ের সবুজ ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে এসব গরু-ছাগলদের। যে কারণে ক্রেতাদের কাছে দেশীয় এসব গরুর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এ বছর জেলায় ৩৫ হাজার গরু, ১৯৬টি মহিষ, ৭ হাজার ছাগল ও ৩ হাজার ৭৬৬টি ভেড়া কোরবানির পশু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এরও চেয়ে বেশি পশু বাজারে উঠবে বলে আশা করছেন তারা।

খামার মালিক তাজুল ইসলাম জানান, ‘সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে কোন প্রকার মেডিসিন ছাড়া তার খামারে প্রায় ৫০টি পশু লালন পালন করছেন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভাল দামের আশায় রয়েছেন তিনি। একই সাথে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন, করোনার কারণে এবারের ঈদে কোরবানির পশু বিক্রি কমে যেতে পারে। কারণ অনেকেই কর্মহীন হয়ে দিন যাপন করছেন।


খামারি কাজল মিয়া বলেন- ‘করোনার কারণে বাজার বসা নিয়ে তো দুশ্চিন্তা আছেই। এর মধ্যে প্রতি বছর ভারতীয় গরু এসে আমাদের লোকসানের মূখে পেলে দেয়। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাব স্বাস্থ্য বিধি মেনে যেন গরুর হাট বসানোর ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি ভারতীয় গরুর যেন না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়।’

খামারি আলমগীর হোসেন তালুকদার বলেন- ‘প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের সহযোগিতায় এ বছর গরুরগুলো স্বাস্থ্য ভালো হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে বিভিন্ন দুশ্চিন্তায় আছি। একদিকে গরুর বাজার বসবে কি-না, আবার বসলেও দাম কেমন হবে? অন্যদিকে ভারতীয় গরু প্রতি বছরই আমাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায়। এসব সমস্যার কারণে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের চিকিৎসক নিয়াজ আহমেদ খান চৌধুরী বলেন- ‘গরু মোটাতাজা করতে খামারিদের সার্বক্ষণিক সেবা দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে প্রতিটি কোরবানির হাটে গরুর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম থাকবে।’


জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস জানান, গরুর হাট বসা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দ্রুত এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করা হবে। এছাড়াও এবারের ঈদে ভারতীয় কোন পশু আসবে না। করোনার কথা মাথায় রেখে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই হাটগুলো বসানো হবে বলেও জানান তিনি।