শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

করোনাকালীন ৪ মাসে হবিগঞ্জে ৩২ খুন!
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

করোনাকালীন সময়েও হবিগঞ্জে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অপরাধ প্রবণতা। ভাইয়ে-ভাইয়ে সংঘাত, পাড়া-প্রতিবেশিদের সংঘাত এমনকি শিশুদের মাঝে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ঘটেছে খুনের ঘটনা। তাও একটি কিংবা দুটি নয়, করোনা পরিস্থিতির মাত্র চার মাসে হবিগঞ্জ জেলায় ঘটেছে ৩২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। দেশের অন্যতম ছোট এই জেলায় মাত্র ৪ মাসে ৩২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।


পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলার কোন অবনতি ঘটেনি। লকডাউনে সবাই ঘরবন্দী থাকায় এবং দীর্ঘদিন পর অনেকে নিজ এলাকায় ফেরায় ছোট-খাট বিষয়কে কেন্দ্র করে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

জেলা পুলিশের তথ্যমতে- মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চারমাসে হবিগঞ্জে ৩২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মার্চ মাসে ১০টি, এপ্রিল মাসে ৬টি, মে মাসে ১০টি এবং জুন মাসে ৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই চার মাসে জেলায় সংঘর্ষর ঘটনা ঘটেছে শতাধিক। এসব সংঘর্ষ-সংঘাতে আহত হয়েছে হাজারের উপরে। ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে অর্থ-সম্পদের। এর মধ্যে জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে লাখাই ও মাধবপুর উপজেলায়।

এদিকে বড় সংখ্যক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সচেতন মহলের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকে দাবি করছেন জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আবার অনেকে বলছেন- এ চারমাস আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে করোনা মোকাবেলায় কাজ করতে হয়েছে। করোনার সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করতে হয়েছে তাদের। যার ফলে সহসাই ঘটেছে এসব খুনের ঘটনা।


তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি করোনা মোবাকেলায় পুলিশ কাজ করলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন অবনতি ঘটেনি। এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে গ্রাম্য দাঙ্গার তেমন কোন ঘটনা নেই। পারিবারিক কলহের জেরেই মূলত খুনের ঘটনা ঘটেছে বেশি।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, ‘হবিগঞ্জ একটি দাঙ্গাপ্রবণ এলাকা। আমি হবিগঞ্জে যোগদানের পর গ্রাম্য দাঙ্গা প্রতিহত করতে লিফলেট বিতরণ করেছি, পোস্টার ছাপিয়েছে, উঠান বৈঠক করেছি, স্কুলে স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে গ্রাম্য দাঙ্গার কুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছি। ফলে জেলায় গ্রাম্য দাঙ্গা অনেকটা কমে এসেছিল। আর কয়েকমাস সময় পেলে হবিগঞ্জে দাঙ্গার সংখ্যা শুণ্যের ঘরে নামিয়ে আনতাম।’

তিনি বলেন- ‘করোনার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতি হয়েছে সেটা বলা যাবে না। দাঙ্গার ঘটনায় এসব হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়নি। অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে মূলত পারিবারিক কলহের জেরে।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘করোনার সময় মানুষ বাসা-বাড়িতে অবস্থান করছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও এলাকায় ফিরেছে অনেক মানুষ। ফলে বাড়িতে থেকে থেকে বিভিন্ন ছোটখাট বিষয় নিয়ে ভাইয়ে-ভাইয়ে বিরোধ, পাড়া-প্রতিবেশিদের সাথে জায়গা নিয়ে, রাস্তা নিয়ে, বৃষ্টির পানি পড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে সত্যিকার অর্থে পুলিশের কিছু করা নেই।’