ভুটানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করা লোটে শেরিং। দেশটির জাতীয় নির্বাচনে সংসদের ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩০টি আসনে জয়লাভ করেছে তার দল ডিএনটি। লোটে শেরিং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন ডা. লোটে শেরিং। এমবিবিএস পাস করার পর বাংলাদেশেই জেনারেল সার্জারি বিষয়ে এফসিপিএস করেন তিনি। এরপর দেশে ফিরে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করলেও ২০১৩ সালে সেখান থেকে অব্যাহতি নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশটির প্রথম দফা নির্বাচনে লোটে শেরিংয়ের দল ডিএনটি জয়লাভ করে চমক সৃষ্টি করে। প্রথম দফার নির্বাচনে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। এরপর ১৮ অক্টোবরের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ডা. লোটে শেরিং।
ভুটানে সাধারণত দুই দফায় ভোট হয়ে থাকে। প্রথম দফায় ভোটাররা রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট দেয়। প্রথম দফার নির্বাচনে যে দুটি দল প্রথম ও দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়, তারা পার্লামেন্টের ৪৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। এরপরই হয় দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ।
এবারের প্রথম দফার নির্বাচনে চারটি দল অংশ নেয়। প্রথম দফার মৌলিক নির্বাচনে লোটে শেরিং সবার চেয়ে এগিয়ে থাকেন। এরপর দ্বিতীয় দফার নির্বাচেন ৪৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩০টিতে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন শেরিং।
ডা. লোটে শেরিং বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের জন্য জনগণ ও গণমাধ্যম বিশেষভাবে অবদান রেখেছে। এখন আমি ৪৬ জন সংসদ সদস্যকে নিয়েই দেশের উন্নয়ন করে যাব। গণমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকার কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়েছে। তারা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’