বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সুনামগঞ্জে পাহাড়ী ঢলে ভেসে আসল হাতির মরদেহ
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে ভারতের পাহাড় থেকে ভেসে এসেছে একটি হাতির লাশ। দুর্গন্ধ ছড়ানোর পর এলাকাবাসীর নজরে আসে হাওরে ভাসমান অতিকায় মৃত হাতির দেহ।

স্থানীয় লোকজন ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রনজিৎ চৌধুরী রাজনকে জানানোর পর গতকাল মঙ্গলবার সেটিকে উদ্ধার করে শান্তিপুর-নয়া বারুংকা গ্রামের রাস্তার পশ্চিমপাশে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ও ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, শান্তিপুর গ্রামের লোকজন গত কয়েকদিন ধরে গ্রামের পশ্চিম দিকের বাতাসে দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন। কিন্তু কোথা থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল তা কেউ খোঁজে পাচ্ছিলেন না। গত সোমবার গ্রামের লোকজন দেখতে পান প্রায় ১০-১২ ফুট লম্বা একটি হাতির লাশ ফুলে-পচে হাওরের বনে লেগে আছে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমীর বিশ্বাসের পরামর্শে উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের লোকজন ও তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বীরেন্দ্র কিশোর রায়ের উপস্থিতিতে হাতির লাশটিকে মাটি চাপা দেয়া হয়।

স্থানীয়দের ধারনা, এটি মাঝাড়ি বয়সের হাতি। পাহাড়ি ঢলের সময় হয়তো কোনো কারণে এটি ভেসে বাংলাদেশে চলে আসে। পরে মারা যাওয়ার পর যাদুকাটা-রক্তি দিয়ে আবুয়া হয়ে শান্তিপুর-নয়া বারুংকা গ্রামের মাঝের শিমের কাড়া (নালা) দিয়ে এটা হাওরে ঢুকে পরে। হাওরে যাওয়ার পর এটি বনে আটকা পড়েছিল ও পঁচে ফুলে গিয়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছিল।

ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রনজিৎ চৌধুরী রাজন বলেন,‘ আমাদের ধারণা পাহাড়ি ঢলের কবলে পড়ে হাতিটি মারা গেছে। পানির তোরে ভেসে বাংলাদেশে চলে এসেছিল। হাতির লাশ পঁচে ফুলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়েছিলেন। গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পরামর্শে প্রাণি সম্পদ ও বিট অফিসারের উপস্থিতিতে হাওর থেকে হাতির লাশ উদ্ধার করে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।’