রাজনৈতিক সহনশীলতা ও সম্প্রীতির সমর্থনে এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে ‘শান্তির অঙ্গীকার’ করলেন দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ইউএসএআইডি এবং ইউকেএইডের যৌথ অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের স্ট্রেংথেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ অঙ্গীকার করেন তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ব্লুম বার্নিকাট এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া রয়েছেন সারা দেশ থেকে আগত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রিত নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও সহনশীল রাজনীতির চর্চা বৃদ্ধিতে, ‘শান্তিতে বিজয়’ ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশের সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও সাধারণ জনগণকে সচেতন করা এবং তাদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে তৃণমূলের ৪০ জেলার আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতারা রাজনৈতিক সহনশীলতা ও সম্প্রীতির সমর্থনে তাদের কেন্দ্রীয় নেতারা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে সহিংসতার বিরুদ্ধে অঙ্গীকার করার কথা রয়েছে।
শান্তির অঙ্গীকারে শপথনামায় উল্লেখ আছে- আমি বিশ্বাস করি, একমাত্র সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতিই দেশের মানুষের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, যারা শান্তিপূর্ণ রাজনীতির চর্চা করবে, দেশের মানুষ তাদেরই সমর্থন করবে। তাই আমি অঙ্গীকার করছি- আমি সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতির চর্চা করব।
ভবিষ্যতের যে কোনো নির্বাচনে আমি শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা করব এবং দলের সহকর্মীদেরও নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে উৎসাহিত করব। আমি অঙ্গীকার করছি- আমি সবসময় শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে সচেষ্ট থাকব। শান্তিতে বিজয় বাংলাদেশের ষোলো কোটি মানুষের বিজয়। শান্তি জিতলে জিতবে দেশ।
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশিদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে- নির্বাচনের আগে, চলাকালে এবং পরে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে অহিংস আচরণ করার আহ্বান জানাতে হবে। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, দেশ ও নাগরিকদের স্বার্থহানী করতে চায় সহিংসতা শুধু তাদেরই কাজে আসে।
তিনি আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে থাকা একটি রাষ্ট্রের জন্য এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।