বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

গরিবের রবিনহুড ‘হ্যাকার হামজা বেনদেলাজ’
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

রবিনহুডকে আমরা সবাই চিনি। চলচ্চিত্র টিভি সিরিয়াল গল্পের বইয়ের মাধ্যমে আমরা জানি নিষ্ঠুর জমিদারের ধন সম্পদ লুটে নিয়ে যিনি গরিবের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। তেমনি আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত হামজা বেনদেলাজ নামে এক হ্যাকার তাকে বলা হচ্ছে আধুনিক সময়ের গরিবের রবিনহুড। তার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের গুরুতর অভিযোগ তিনি মার্কিন দুই শতাধিক ব্যাংক থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার চুরি করে তা গরিব আফ্রিকান ও ফিলিস্তিনিদের দিয়ে দিয়েছেন। হ্যা পাঠক আপনি ঠিক পড়ছেন বিলিয়ে দিয়েছেন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার।

তাকে যখন গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় তারপরেও হ্যাকিংয়ের কাজের জন্য কখনোই তাকে দুঃখিত দেখা যায়নি। সর্বদা হাসিখুশি দেখা গেছে তাকে। বেনদেলাজ হ্যাকিং জগতে বিএক্স১ (Bx1) নামে পরিচিত। কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশের মাধ্যমে তথ্য চুরি ও ট্রোজান হর্স নামের স্পাইআই তৈরিতে ভূমিকা পালন করে তিনি দুই শতাধিক আমেরিকান ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এর টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তুলে নেন।

বেনদেলাজ বড় হয়েছিল আলজেরিয়ার তিজি ওজু নামক স্থানে। হ্যাকিং শুরুর পরও প্রথমে তার পরিচয় কেউ পায়নি। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত টাকা সব অর্থ তিনি ফিলিস্তিন এবং আফ্রিকার খাদ্যাভাব মেটাতে ব্যয় করেনত। পরে স্পাইআই ভাইরাসের একটি কপি আমেরিকান ছদ্মবেশী অফিসারের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে চিহ্নিত হন। পরে তাকে ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডে একটি এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করে মার্কিন প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মার্কিন আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয় বেনদেলাজকে। বিচারে আমেরিকান ব্যাংক হতে মিলিয়ন ডলার চুরি করার জন্য দণ্ডিত করে অমেরিকান আদালত। বিভিন্ন অপরাধে তার ১৫ বছরের কারাদণ্ড ঘোষিত হয়।

বিচারের সময় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, বেনদেলাজকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যদিও বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি। অনেকেই সে গুজবে সুর মিলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদ করতে থাকেন। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে জেল খাটছেন বেনদেলাজ। তাকে মুক্ত করার জন্য বিভিন্ন হ্যাকার গ্রুপ ও সংগঠন প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে অনলাইনে #FreeHamzaBendellaj এবং #FreePalestine হ্যাশট্যাগ অন্যতম।