শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী আটকে ব্যাপক প্রস্তুতি
প্রবাস ডেস্ক

প্রবাস ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার জন্য পরিচালিত রিহায়ারিং প্রোগ্রাম শেষ হয়েছিল গত ৩০ জুন। এরপর আরও একমাস সময় বাড়িয়ে ৩০ আগস্টের মধ্যে স্বেচ্ছায় দেশে যাওয়ার সময় বেধে দিয়েছিল দেশটির সরকার। ইতোমধ্যে সে সময়ও শেষ হয়ে গেছে।

এরপরই অবৈধদের ধরতে সারাদেশে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। এ কারণে অবৈধ অভিবাসীদের অনেকেই গা ঢাকা দেয়ায় শ্রমিক সঙ্কটে পড়েছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা।

মালয়েশিয়ার জাতীয় দৈনিক দ্য স্টার গত ৩০ আগস্ট এ খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

মালয়েশিয়ায় ৩০ আগস্ট পর্যন্ত থ্রি প্লাস ওয়ান নামক কর্মসূচির অধীনে বিশেষ ক্ষমার সুযোগ ছিল। এর আওতায় অবৈধ অভিবাসীরা ৩০০ রিঙ্গিত জরিমানা এবং বিশেষ পাসের জন্য আরও ১০০ রিঙ্গিতের বিনিময়ে নিজ নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এ কর্মসূচির সময় শেষ হওয়ার আগের দিন ২৯ আগস্ট অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুকে সেরি মুস্তফার আলি জানান, ক্ষমা প্রদানের সময় আর বাড়ানো হবে না।

তিনি বলেন, ‘৩১ আগস্ট থেকেই অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হবে। বিশেষ ক্ষমা কর্মসূচিতে অংশ নিতে আমরা তাদের যথেষ্ট সময় দিয়েছি। সুতরাং আর সময় বাড়ানো হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসীরা ক্ষমা পেতে ও দেশে ফিরে যেতে এখনও দেশজুড়ে আমাদের অফিসগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে।’

অবৈধ অভিবাসীদের আটক অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া দাবি করে মুস্তফার আলি জানান, জানুয়ারি থেকে আগস্টের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ৯ হাজার ২০৮টি অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮ হাজার ৬৩ জন অবৈধ অভিবাসী ও ৭৯৯ জন নিয়োগকারীকে।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়াকে অবশ্যই অবৈধ অভিবাসী মুক্ত করা হবে। তবে শুক্রবার থেকে জোর অভিযান শুরু হলেও এ পর্যন্ত কতজনকে গ্রফতার করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

মুস্তফার আলীর এমন ঘোষণায় মালয়েশিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিক সঙ্কটে পড়েছে। ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারার্সের প্রেসিডেন্ট দাতুক সোহ থিয়ান লাই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিদেশি শ্রমিক সংক্রান্ত নীতিমালা নিয়ে অনিশ্চয়তা না কাটলে চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে স্থানীয় প্রস্তুতকারকরা হিমশিম খাবে।

উল্লেখ্য মালয়েশিয়ায় ৪ মিলিয়নের বেশি বিদেশি শ্রমিক কাজ করায় দেশটি উচ্চ উৎপাদনশীলতা জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ডেইলি নিউজ পেপার নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের সঙ্গে আলাপকালে মালয়েশিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (এম.টি.ইউ.সি) সভাপতি দাতুক আব্দুল হালিম মানসর বলেন, সরকারের উচিত সম্পূর্ণরূপে বিদেশি শ্রমিকদের সমস্যা মোকাবেলা করা।

বিদেশি শ্রমিকদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ ও তাদের শ্রম আইনের অধীনে সুরক্ষিত করা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ২৩ বছরে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন সি -১৯-এর অধীনে মামলাগুলো মালয়েশিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দেশি-বিদেশি সব শ্রমিকেরই সমান সুযোগ পাওয়া উচিত।

এদিকে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীরা বলছেন, যেহেতু মালয়েশিয়া সরকারের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় অবৈধরা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাচ্ছেন বা এখনও যেতে আগ্রহী। তাই তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিতে আবারও সময় বাড়ানোর জন্য মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।