বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হত্যা চেষ্টা মামলা: গ্রেফতার ১
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক



বিজ্ঞাপন

বড়লেখায় এক মোটর সাইকেল দুর্ঘটনাকে ‘হত্যা চেষ্টা’ মামলায় রূপ দেয়া হয়েছে। মামলা দায়ের করেছেন দুর্ঘটনায় আহত অপর আরোহী সুহেল রানার পিতা তৈয়ব আলী।

গত ৩ সেপ্টেম্বর বড়লেখা থানায় দায়ের করা মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট সন্ধায় সাংবাদিক সাদিক তাজিন মামলার ভিকটিম সুহেল রানাকে মোটরসাইকেলে তুলে বাড়িতে এগিয়ে দেবার কথা বলে। পরে বড়লেখা-শাহবাজপুর সড়কের মুড়াউল নামক স্থানে নাটকীয় দূর্ঘটনা ঘটিয়ে সুহেল রানাকে হত্যার চেষ্টা করেন চালক তাজিন। সৌভাগ্যক্রমে সুহেল রানা বেঁচে যান। মামলার এজাহারে ঘটনার সুষ্ঠ্য তদন্তে অপরাধী সাদিক তাজিনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানানো হয়।

সাংবাদিক সাদিক তাজিন এ প্রতিবেদককে জানান, গত ২৯ আগস্ট সন্ধায় আমি বড়লেখা সদর থেকে কাজ শেষে নিজ বাড়ি শাহবাজপুরের কুমারশাইল গ্রামে ফিরছিলাম। বড়লেখা বাজার থেকে বের হলে চৌমুহনী নামক স্থানে পূর্ব পরিচিত সুহেল রানা আমাকে থামিয়ে তার তাড়া আছে বলে তাকে লিফট দেওয়ার অনুরোধ করেন। যেহেতু দুজনের বাড়ি একই দিকে সেহেতু তাকে সাহায্যের মানষিকতায় বাইকে তুলেছিলাম।
সাদিক তাজিন আরো বলেন, মুড়াউল এলাকায় পৌছানোর পর একটি মালবাহি ট্রাক আমার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে আমি এবং সুহেল রানা উভয়েই রাস্তার পার্শ্ববর্তী খাদে ছিটকে পড়ি। এতে উভয়েই পায়ে ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হই। পরে স্থানীয়রা আমাদের দুজনকে উদ্ধার করে বড়লেখা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সাদিক তাজিনের পিতা শাহবাজপুরের কুমারশাইল গ্রামের বাসিন্দা ফরিজ আলী জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দরের নির্দেশে আমার ছেলেকে ট্রাক চাপা দিয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে। সেই বিষয়টি ধামা-চাপা দিতেই উল্টো আমার ছেলেকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
মামলার বাদি বড়লেখা উপজেলার অফিসবাজার এলাকার তৈয়ব আলী তার পুত্র সুহেল রানা(২২)কে হত্যা চেস্টার অভিযোগে স্থানীয় সাংবাদিক, দৈনিক শ্যামল সিলেট বড়লেখা প্রতিনিধি শাহবাজপুরের কুমারশাইল গ্রামের ফরিজ আলীর পুত্র মো সাদিকুর রাহমান (সাদিক তাজিন) আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ সাদিককে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে।

মামলা দায়ের করা মটোর সাইকেলের অপর আরোহী সুহেল রানার পিতা তৈয়ব আলীর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য অপর একটি মামলায় দীর্ঘ দুইমাস কারাভোগ শেষে গত ১৯ আগষ্ট জামিনে মুক্তি পান সাদিক তাজিন। মুক্তির ১৮ দিনের মাথায় আরেকটি মামলায় তিনি গ্রেফতার হোন।