ঈদ-উল-আযহাকে ঘিরে বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর বাজারে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পশুর দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। তবে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি আকৃতির দেশী গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। গরু ছাড়াও ছাগল, ভেড়াও বাজারে উঠেছে।
১৯ আগস্ট রোববার সন্ধ্যার পর পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। বেচা কেনাও মন্দ হচ্ছে না বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে কেউ কেউ আবার বেচা-কেনা খুব ভালো নয় বলেও জানান। হাটে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা দামের গরু বাজারে উঠেছে।
আফতাব আলী নামের এক ব্যবসায়ী জানান, বাজারে বেচাকেনা খারাপ হচ্ছে না। দামও সাধ্যের ভিতরে।
এখলাস উদ্দিন নামের আরেক ব্যসসায়ী জানান, খুব যে ভালো বেচাকেনা হচ্ছে না নয়। তিনি ৬টি গরু নিয়ে বাজারে এসেছিলেন, এর মধ্যে ২টি গরু বিক্রি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩টি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন।
হাটে আসা এক বিক্রেতা জানান, ভারতীয় পশু না আসাতে এ বছর দেশী গরুর ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে। ঘরের গরু ৬০ হাজার টাকা দামে তিনি বিক্রি করেছেন।
গরু কিনতে আসা একজন বলেন , হাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক গরু এসেছে, দামও আমাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।
পশু হাটের ইজারাদার আহমদ শরীফ দেলোয়ার বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানির পশু বাজারে উঠেছে। দামও ভালো তাই বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।