এ.জে লাভলু:
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে বছর জুড়ে পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে। তবে ঈদ উৎসবে পর্যটকদের সমাগম একটু বৃদ্ধি পায়। এতে মুখরিত হয় পর্যটন এলাকা। হাসি ফুঠে ওঠে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে। এবারও ঈদুল আজহার ছুটিতে মাধবকুণ্ডে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।
বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের প্রথম দিন বুধবার থেকে তৃতীয় দিন ২৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে তিনটা পর্যন্ত মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে প্রায় ৫ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। প্রতিদিন আশপাশের উপজেলার মানুষ ছাড়াও দেশের অন্যান্য জেলা এবং বিদেশী পর্যটকরা ভীড় করছেন মাধবকুণ্ডে। এতে বেঁচাকেনা ভালো হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটে ওঠেছে।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবসহ নানা বয়সী মানুষ বাস, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় যানবাহনে করে মাধবকুণ্ডে বেড়াতে আসছেন। মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের নির্মিত গাড়ি রাখার টার্মিনালে জায়গা না হওয়ায় আগত পর্যটকরা সড়কের ওপর গাড়ি পার্কিং করেছেন। এতে অনেকসময় যানজট লাগছে। স্থানীয় দোকানগুলোতে জমজমাট বিকিকিনি হচ্ছে। জলপ্রপাতের পানিতে নানা বয়সী মানুষ সাঁতার কাটছেন। হইচই করছেন। কেউ কেউ প্রিয়জনদের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছেন।
মাধবকুণ্ড পর্যটন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পর্যটকের নিরাপত্তায় পুলিশ সবসময় কাজ করছে। আগত পর্যটকরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাতে পাহাড় চূড়ায় না উঠতে পারে, এজন্য পুলিশ সর্তক আছে। কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেনি।’
বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন জায়গার পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকরাও মাধবকুণ্ডে বেড়াতে আসছেন। প্রতিদিন পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটকদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় এজন্য আমরা সবসময় নজর রাখছি।’