সিলেটের গোলাপগঞ্জে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন্ত ব্যানার্জীর উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা (মামলা নং-১২/২৫-১২-১৮ইং) দায়ের করেন। মামলায় সিলেট-৬ আসনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে মোট ৫৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী থেকে ১৪ জন ধানের শীষের সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে বিকেল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে বিজিবি ও ডিবি পুলিশ। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিতে জনগণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির শেষ নির্বাচনী জন সভায় যোগদানের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজন পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হয়েছেন বলে প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায়।
ধানের শীষ প্রতীকের শেষ নির্বাচনী সভা ছিল বুধবার। বিষয়টি প্রচারিত হলে গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপক সংখ্যক লোকজন জনসভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য উপজেলা সদরের চৌমুহনীতে অবস্থান নিতে থাকেন। বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নে দিনব্যাপী গণসংযোগ শেষে চৌমুনীস্থ মার্ভেলাস টাওয়ারের নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে নিজ সমর্থক ও শুভাকাঙ্খীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় চৌমুহনীতে জড়ো হওয়া বিএনপি ও ধানের শীষের সমর্থকরা মিছিল বের করে নূর ম্যানশনের সামনে জড়ো হতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশি ধড়-পাকড়ে ধানের শীষের সমর্থকরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। তখন চৌমুহনী এলাকা থেকে পুলিশ ১৪ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এতে পণ্ড হয়ে যায় ফয়সল আহমদ চৌধুরীর শেষ নির্বাচনী জনসভা।
মামলা ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক শিবলী।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার হেতিমগঞ্জ বাজারে বিএনপি প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরীর পথসভা ছিল। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় দাঁড়ানোর কারণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করতে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়। এতে গোলাপগঞ্জে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন্ত ব্যানার্জী মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন।