ইতালিতে অভিবাসী ও নিরাপত্তা আইন কার্যকর শুরু হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় সময় রাত ৯টার পর কেউ গ্রোসারির দোকান খোলা রাখতে পারবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশিসহ অভিবাসী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া রাত ১০টার পর কোনো কোনো দোকানে বিয়ার বিক্রি করার উপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নতুন আইন পূর্ণাঙ্গ কার্যকর হলে আর্থিক লোকসান গুনতে হবে বলে অভিযোগ করেছেন অভিবাসী ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, বন্ধ করতে হলে সবার ব্যবসাই বন্ধ করা উচিত। শুধু বাংলাদেশিসহ অন্যান্য অভিবাসী ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ হবে? সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন ডিক্রির ওপর স্থানীয় টেলিভিশনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে সাংবাদিকদের কাছে ইতালির নাগরিক ও অভিবাসীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। স্থানীয় নাগরিকরা বলেন, রাত ৯টায় অভিবাসীদের দোকান বন্ধ রাখার যে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কাজটি ভাল করেনি। কারণ যারা কাজ শেষে দেরিতে ফেরেন তাদের অসুবিধা হচ্ছে বেশি। জরুরি কোনো কেনাকাটার প্রয়োজন হলে তা সম্ভব হবে না।
কেউ আবার এ নতুন আইনকে সমর্থন করে বলেন, রাত ৯টায় দোকান বন্ধ থাকাই ভাল। নয়তো উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা রাতে মদ-বিয়ার পান করে মাতলামি করে। এ আইনের কারণে এখন এসব বন্ধ হবে।
বাংলাদেশি অভিবাসী ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন আইনের কারণে প্রতিমাসে তাদের লোকসান গুনতে হবে। আর এভাবে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। বাসা ভাড়া, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের স্কুলসহ অন্যান্য খরচের টাকা যোগাড় না হলে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলাই উত্তম। এভাবে সীমাবদ্ধতার মধ্যে ব্যবসা করা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর সালভিনি ডিক্রি নামে নিরাপত্তা ও অভিবাসী আইন ইতালির মন্ত্রীপরিষদে অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীতে ৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি ওই ডিক্রিতে সই করেন। এ আইনে আর্থিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।