নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজনের উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কিছমত আহমদ মারুফের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য অজমির হোসেনও আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রলীগ নেতা মারুফ উপজেলার ঘোলসা গ্রামের রহমত আলীর ছেলে এবং যুবলীগ সদস্য অজমির একই এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে।
এই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মারুফের বাবা রহমত আলী ঘোলসা গ্রামের আব্দুস সহিদ, আব্দুল হামিদ, কামরুল ইসলাম, বটল মিয়া ও বছু মিয়ার নামোল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে বটল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা পৌরশহরের উত্তর চৌমুহনী এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা কিছমত আহমদ মারুফের একটি পার্টসের দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মারুফ ও অপর ব্যবসায়ী অজমির হোসেন মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘোলসা গ্রামের সুজিত ধরের বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছার পর আগে থেকে সেখানে ওত পেতে থাকা বিবাদীরা বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারুফের মোটরসাইকেলে গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা মারুফ ও যুবলীগ নেতা অজমিরকেও ব্যাপক মারধর করে আহত করে। পরে তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে বিবাদীদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার এসআই মাসুদ পারভেজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, ছাত্রলীগ নেতা মারুফের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পরই এক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।