শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যানকে মন্ত্রণালয়ের শোকজ
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

পোলট্রি খামারে হামলা, ভাঙচুর, ধান কাটার হারভেস্টার মেশিন ভাঙচুর এবং করোনা পরিস্থিতিতে গণজমায়েত সৃষ্টির অভিযোগে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুককে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।


গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের (উপজেলা-২ শাখা) উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সই করা একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয় বলে আজ গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরীন।

গত ৪ মে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের পাঠানো চিঠির সূত্র ধরে স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, ১ মে রাত ১০টায় উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের নেতৃত্বে জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামে ‘বন্ধু পোলট্রি ফার্ম’ এ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট; ধান কাটার হারভেস্টার মেশিনের যন্ত্রপাতি ভাংচুর এবং করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে গণজমায়াতের সৃষ্টি করা হয়। এ কারণে তাকে (উপজেলা চেয়ারম্যান) উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত এর ১৩ (খ) ও (গ) ধারা অনুযায়ী, কেন স্বীয় পদ থেকে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হবে না-এ মর্মে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে।

গত ২ মে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুককে প্রধান আসামি করে পোলট্রি খামারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে জুড়ী থানায় মামলা করেন খামার মালিক দীনবন্ধু সেন।

এরপর গত ৪ মে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান ভূঁইয়া তার বাড়িতে থাকা হারভেস্টার মেশিনের যন্ত্রপাতি ভাংচুর ও লুটের ঘটনায় মোঈদ ফারুককে প্রধান আসামি করে ও আরও ৫ জনকে অভিযুক্ত করে জুড়ী থানায় পৃথক আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেন।


উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক চিঠি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বুধবার মুঠোফোনে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই চিঠির জবাব তিনি পাঠাবেন। এ ঘটনা নিয়ে গত ৪ মে তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষের ‘চক্রান্ত’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।