শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত রোববার সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম (ফেঞ্চুগঞ্জ) আদালতের বিচারক ফারজানা শাকিলা মুমু চৌধুরী বাদীপক্ষের আরজি ও প্রমাণাদি পর্যালোচনা শেষে মানহানির ও হুমকির অভিযোগের পর্যাপ্ত প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারা মোতাবেক এই মামলার খারিজাদেশ প্রদান করেছেন।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমানে যুক্তরাজ্য যুবলীগ নেতা আশফাকুল ইসলাম সাব্বিরের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে গত বুধবার এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।

গত ৩ অক্টোবর বুধবার দায়ের করা এই মামলার আরজিতে মনোয়ারা বেগম উল্লেখ করেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জের পিটাইটিকর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় তার ছেলে ও পরিবার সম্পর্কে এমপি অশালীন ও অকথ্য মন্তব্য করেছেন। ওই জনসভায় এমপি তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দেন। এ কারণে বাদী ও তার পরিবারের মানহানি হয়েছে বলে তিনি তার আরাজিতে দাবি করেন।

ঐদিন বিজ্ঞ বিচারক ফারজানা শাকিলা মুমু চৌধুরী বাদী ও তার আইনজীবীর বক্তব্য পর্যালোচনা শেষে আদেশ অপেক্ষমান রাখেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত বাদীপক্ষের আরজি ও উপস্থাপিত প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে মামলাটি খারিজ করে দেন।

বিচারক তার প্রদত্ত আদেশে বলেছেন, মামলার আরজি, বাদীর বক্তব্য ও প্রমাণাদি পর্যালোচনায় এটি সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়নি যে, আসামি বাদীর নাম উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে কোনরূপ মানহানিকর উক্তি করেছেন। বাদীকে ২০০ ধারা মোতাবেক পরীক্ষাকালেও বাদীর মানহানি হয়েছে মর্মে সুষ্পষ্ট কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। ফলে, সার্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনায় এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পর্যাপ্ত কারণ নেই মর্মে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। বিধায় অভিযোগটি ২০৩ ধারা মোতাবেক খারিজ করা হলো।