মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মাথারকাপন এলাকায় রুমানা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মরদেহ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে সামনে রাখা ছিলো।
নিহত রুমানা সদর উপজেলার চাঁদনীগঘাট ইউনিয়নের কবির আহমদের স্ত্রী।
নিহতের ভাই সুহেল মিয়া অভিযোগ করেন, ৩ বছর আগে বর্ষিজোড়া ছড়ারপার এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে কবির মিয়ার সাথে তাদের বোনের বিয়ে দেন। বিয়ের পর জানতে পারেন তার স্বামী মাদকাসক্ত। এর পর সংসারে সে অসুখী ছিলো। আজ রুমানার স্বামী ও শাশুড়ি দিনভর রুমানার সাথে ঝগড়া করে এবং মারধর করেন বলে শুনেছেন। পরে বিকেলে তাদের বোনের লাশ গোপনে হাসতাপালে আনা হয়। তখন পর্যন্ত তাদের পরিবারকে মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়নি। পরে লাশ হাসপাতালে রেখে তার শশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছেন। তার স্বামী কবির ও তার মা আমার বোনকে হত্যা করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে লাশ রেখে পালিয়ে গেছে। আমরা এসে লাশের গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। আমরা এর বিচার চাই।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহম্মদ বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে সন্ধ্যার পর পুলিশ অবগত হয়েছে। লাশের গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।