ভূমি আত্মসাৎ ও জালিয়াতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সিলেটের সিলেটের আলোচিত ব্যবসায়ী রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আবদুল হাই দ্বিতীয় দফায় কারাবন্দি আছেন। আপিলে নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকায় গত ১২ সেপ্টেম্বর বুধবার রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইকে কারাগারে পাঠান আদালত।
এরপর থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে মালির কাজ করছেন এই ধনকুবের। আর তার ছেলে আব্দুল হাই কারাগারের লাইব্রেরিতে কর্মচারীর কাজ করছেন।
তবে কারাবন্দি রাগীব আলীর সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও মর্যাদাশীল ব্যক্তি হওয়ায় কারাগারে তাকে ডিভিশন-২ এর মর্যাদা দেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন তার আইনজীবী আব্দুর রহমান আফজাল।
এছাড়াও পৃথক আরেকটি আবেদনপত্রে তিনি রাগীব আলী ও আব্দুল হাইকে শারীরিকভাবে অসুস্থ উল্লেখ করে তাদের সুচিকিৎসা না হলে যেকোনো সময় অঘটন ঘটতে পারে। তাই আসামিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়ার জন্য সিলেট মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহর আদালতে আবেদন করেন।
আদালতের বিচারক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে জেল সুপারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিবের বরাবর রাগীব আলী ও তার ছেলের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র সংযুক্ত করে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার আবু সায়েম জানান, সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় রাগীব আলীকে কারাগারে মালির কাজ দেয়া হয়েছে। তিনি কারাগারের বাগানে পানি দেন। এছাড়াও তার ছেলে আব্দুল হাই কারা অভ্যন্তরের লাইব্রেরিতে কাজ করছেন। এছাড়া কারা কর্তৃপক্ষ তাদের আইনজীবীর করা দুটি আবেদনপত্র পেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েছে।
রাগীব আলীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল জানান, রাগীব আলী সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি সমাজের বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। তার শারীরিক অসুস্থতাও রয়েছে। তাই আদালতে তাকে ডিভিশন-২ দেয়ার আবেদন জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সিলেট মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ স্মারক জালিয়াতি করে তারাপুর চা বাগানের হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কারাগারে থাকাকালীন তাদের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন সিলেট মূখ্য আদালতের তৎকালীন বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো। এরপর কারাগারে তারা মালি ও লাইব্রেরিতে কাজ করেছিলেন।