বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বিএনপি এবং জামায়াত দেশ ধ্বংস করার চেষ্টা করছে: সিলেটে শাজাহান খান



বিজ্ঞাপন

নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বিএনপি এবং জামায়াত মিলে এ দেশটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তারা কথায় কথায় হরতাল ডাকে, মানুষ মারে, গাড়ি পোড়ায়। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের পতাকা জ্বালিয়েছে, শহীদ মিনার ভেঙেছে।

১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সিলেটের জাফলং নলজুড়ি ডাক বাংলোয় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নৌমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার কাছে কোনো সময় এদেশের মানুষ নিরাপদ নয়। খালেদা জিয়া যখন দায়িত্বে এসেছিল তখন গার্মেন্ট শ্রমিক, শ্রমজীবী মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। বিএনপি-জামায়াত এখনো বোমা মেরে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে।

শাজাহান খান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্যতা মুছে ফেলা হবে। এ সরকার যদি পুনরায় ক্ষমতায় থাকে তাহলে এদেশ জঙ্গি মুক্ত হবে।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার কথা চিন্তা করা একেবারেই অবান্তর উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের হৃদয় থেকে আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুকে কোনোভাবেই মুছে ফেলা যাবে না।

নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে শাজাহান খান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে লড়ছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুও শ্রমজীবীর পক্ষে কথা বলে গেছেন। নৌকায় আছে স্বাধীনতা, নৌকায় আছে নিরাপত্তা। তাই দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলের নদ-নদী দখল দূষণ ও জাফলংয়ে সরকার ঘোষিত ইসিএ এলাকায় বোমা মেশিন দিয়ে কোনোভাবেই পাথর উত্তোলন করা যাবে না। এক্ষেত্রে কাউকে খাতির করা যাবে না। সে যতবড় শক্তিশালী হোক না কেন। প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনাও তাই।

সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, সিলেটের পরিবেশের উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন, সিলেটের কৃষি অধিদপ্তরের পরিচালক আবুল হোসেন, সিলেটের মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা ওয়াটারকিপার আবদুল করিম কিম, পরিবেশ আইনবিদ বেলার সিলেটের সমন্বয়কারী শাহ শাহেদা খাতুন, গোয়াইনঘাটের ইউএনও বিশ্বজিত কুমার পাল, গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুর জলিল, স্থানীয় চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লেবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।