মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই চা বাগানে নারীর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধারের ৬ দিন পর তার মস্তক উদ্ধার ও পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ধলাই চা বাগান এলাকায় ফসলি জমির কাদা মাটির নিচ থেকে একটি শপিং ব্যাগে মোড়ানো মস্তকটি উদ্ধার করা হয়।
বিকেলে নিহতের পরিবার তার পরিচয় নিশ্চিত করেন। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালীঘাট এলাকার দেব তাতীর মেয়ে ইরানী তাতী (৩৪)। স্বামী পরিত্যক্তা ইরানী মন্দিরের কীর্তনী ছিলেন। তিনি এক সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় আটক বাবুল কুমার দাশের (২৪) দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মস্তকটি উদ্ধার করার পর তার পরিচয় জানা যায়।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইউনিয়নের ধলাই চা বাগানের ১ নম্বর সেকশন এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কমলগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক চম্পক ধাম বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে এই নারীকে হত্যা করে তার মাথা আলাদা করে তা গুম করা হয়। পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইউনিয়নের ধলাই চা বাগানের ১ নম্বর সেকশন এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অনুসন্ধান করে পুলিশ সন্দেহ থেকে ওই এলাকার বিক্রম রবিদাশের ছেলে বাবুল কুমার দাশকে সিলেট থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এবং নারীর কাটা মাথার সন্ধান দেয়। এসময় সে ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশকে। আটক বাবুল কুমার দাশ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।