গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে ‘জনধিকৃত’ ও ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে কামাল হোসেনরা দেশে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
খালিদ বলেন, ড. কামাল হোসেনকে বাংলাদেশের মানুষ সব সময় সন্দেহের চোখে দেখে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে ভারত গিয়ে পরে পালিয়ে পাকিস্তান চলে যান। তার নিজের দলেই কোনো গণতন্ত্র নেই। প্রতিযোগিতমূলক কোনো নির্বাচনে তিনি জিততে পারেননি। এখন তিনি দেশে বিরাজনীতিকরণের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে পরিত্যক্ত এসব মানুষ জীবনভর ষড়যন্ত্র করে গেছে। এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানান।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে খালিদ বলেন, অতীতে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে ছাত্রলীগ। জাতির পিতার স্বপ্নের স্বাধীনতা, ভাষা আন্দোলন, গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অকুতোভয় ছিল ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে সত্য প্রমাণ করেছে। ছাত্রলীগের দৃঢ় ভূমিকার কারণেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার তরান্বিত হয়েছে। এ ছাত্রলীগই শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড।
এ সময় ছাত্রলীগের সমালোচনাকারীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, একটি জাতির স্বাধীনতা-স্বাধিকার আন্দোলন থেকে ধরে প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে এমন ভূমিকা রেখেছে পৃথিবীতে দ্বিতীয় কোনো ছাত্র সংগঠন নেই।
বঙ্গবন্ধুকে জানার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানতে না পারা, না জানা একজন নাগরিকের জন্য লজ্জার। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সমর্থক কিংবা পরিপূরক নয়; বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। সমুদ্র ও স্থল সীমা, মহাকাশ জয়, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা, আইনের শাসনের ভিত গড়ে একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনের সব ব্যবস্থা করে গিয়েছেন তিনি।
হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শবনম জাহান, আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক সোহেলী সুলতানা সুমী, মহিলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রোজিনা নাসরিন রোজী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।