গ্রাম বাংলায় সাপের সঙ্গে মানুষের সাক্ষাৎ বাড়ে গ্রীষ্ম থেকে বর্ষা এই সময়টাতে। সাপেদের আস্তানায় পানি ঢুকে যাওয়ায় বর্ষায় সাপ চলে আসে লোকালয়ে। শহরে সাপের কামড় খাওয়ার ঘটনা না ঘটলেও শহর লাগোয়া এলাকায় সাপের কামড়ে মৃত্যুর খবর মাঝে মধ্যে শোনা যায়। সাপে কামড়ালে অধিকাংশ মানুষেরই যে ভয় পেয়ে মৃত্যু হয়, এই তথ্য হয়তো অনেকেরই জানা। প্রচলিত কিছু ধারণা, কুসংস্কারের বশে অনেকেই সাপের কামড়ে আক্রান্তের উপরে এমন কিছু টোটকা প্রয়োগ করেন, যাতে হিতে বিপরীত হয়। কিন্তু সাপে কামড়ালে ভয় না পাওয়াটা যেমন জরুরি, তেমনই সাপে কামড়ানোর পরে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
সাপে কামড়ালে এই পাঁচটি পদক্ষেপ
কখনওই করা উচিত নয়। জেনে নিন সেই পদক্ষেপগুলি কী কী-
শরীরের যে অংশে সাপ কামড়েছে, সেই জায়গাটি বেশি নড়াচড়া করাবেন না। আক্রান্তকে হাঁটাচলাও করতে দেবেন না। বেশি হাঁটাচলার ফলে মাংসপেশিতে টান পড়ে বিষ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সাপে কামড়ানোর পরে কখনওই কোনও ব্যথা কমানোর ওষুধ (পেইন কিলার) আক্রান্তকে খাওয়াবেন না। এর ফলে আক্রান্তের শরীরের প্রকৃত অবস্থা বোঝা কঠিন হবে। অনেক সময় আক্রান্তের যন্ত্রণা আরও বেড়ে যেতে পারে।
যেখানে সাপে কামড়েছে, তার আশেপাশে কখনওই চিড়ে বা কেটে দেবেন না। এমন করলে উল্টো রক্তে দ্বিগুণ গতিতে সাপের বিষ ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কেও। এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
যাকে সাপে কামড়েছে, তাকে কখনওই কাত কওে শোয়াবেন না। সব সময়ে সোজা কওে শোওয়াবেন। ঠিক যেভাবে স্ট্রেচারের উপওে শোওয়ানো হয়।
কোনওরকম টোটকা বা কুসংস্কার নয়। সাপে কামড়ালে আক্রান্তকে দ্রুত নিয়ে যান হাসপাতালে।