নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ঢাকা থেকে গ্রেফতার বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ জনের জামিন দিয়েছেন আদালত।
বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় ১০ জন এবং ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় ৬ জনের জামিন হয়েছে। বাড্ডা থানার মামলায় আসামি ১৪ জন, বাকি ৮ জন ভাটারা থানায় দায়ের মামলার আসামি।
রোববার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো ও ঢাকা মহানগর হাকিম একেএম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী এ জামিন দেন।
এর মধ্যে সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে ইফতেখার আহম্মেদ জামিন পান। বাকিরা আসামিরা জামিন পান একেএম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকীর আদালতে।
বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, নুর মোহাম্মদ, জাহিদুল হক, মো. হাসান, রেদওয়ান আহম্মেদ, তরিকুল ইসলাম, এ এইচ এম খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, রেজা রিফাত আখলাক, রাশেদুল ইসলাম, মুশফিকুর রহমান ও ইফতেখার আহম্মেদ।
আর ভাটারা থানার মামলায় জামিন পাওয়ারা হলেন, মাসাদ মোর্তোজা বিন আহাদ, সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম, সিফাত শাহরিয়ার, আজিজুল করিম অন্তর, মেহেদী হাসান ও ফয়েজ আহম্মেদ আদনান।
এসব মামলায় এখনো জামিন পাননি, রিসালাতুন ফেরদৌস, বায়েজিদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, সাবের আহম্মেদ উল্লাস ও আমিনুল এহসান বায়েজিদ।
এরা বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কবীর হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আক্তার হোসেন জুয়েলসহ আরো অনেকে জামিন চেয়ে আদালতে শুনানি করেন।
গত ৬ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা থেকে ওই ২২ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের নামে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
এর পরদিন তাদের আদালতে নিয়ে পুলিশ রিমান্ড চাইলে আদালত তাদের প্রত্যেককে দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ৯ আগস্ট তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১২ আগস্ট জামিন চাইলে আদালত ৪ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন। ১৩ আগস্ট ৮ আসামি জামিন চাইলে তারাও জামিন পাননি।