শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

গ্রুপিংয়ের রাজনীতিতে প্রাণ গেল কুয়েত প্রবাসী রাজনগরের আহাদের
বিশেষ প্রতিবেদক

বিশেষ প্রতিবেদক



বিজ্ঞাপন

গ্রুপিংয়ের রাজনীতির কারণে কুয়েত প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আহাদকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার এবং সহকর্মীরা। গতকাল রাতে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের রাজনগরে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

নিহত আব্দুল আহাদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুয়েত শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিলেট বিভাগীয় লেখক ফোরাম কুয়েত শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সক্রিয় রাজনীতিক ছিলেন। তিনি এতটাই সক্রিয় ছিলেন যে প্রবাসে থাকলেও প্রতিদিন এলাকার ইউনিয়ন উপজেলা থেকে শুরু করে জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বলে তার ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিক হাসান রাজিব বলেন, আহাদ ভাই খুব সহজ সরল মানুষ ছিলেন। তিনি বারবার ফোন করে আমাদের খবর নিতেন। শুধু আমি না যার সঙ্গে পরিচয় হত তাকেই তিনি ফোন দিয়ে খবর নিতেন।

এদিকে তার মৃত্যুর পর এলাকায় চলছে শোকের মাতম। প্রবাসে দলীয় রাজনীতিতে গ্রুপিংয়ের কারণে দেশে তাকে খুন করা হয়েছে বলে তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন। এই হত্যার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। শনিবার দুপুরে রাজনগর-ফেঞ্চুগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মুন্সীবাজার এলাকায় এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে অংশ নেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার সর্বস্থরের জনতা। এ সময় বক্তব্য দেন মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া, টেংরা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খান, মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত ও ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস প্রমুখ। পরে সড়ক অবরোধ করে তারা নানা স্লোগান দেন।

নিহত আহাদের বড় ভাই মশাহিদ জানান, বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভায় যোগ দিতে সিলেটে যান আহাদ। সেখানে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দলীয় সকল অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সর্বশেষ শুক্রবার বদর উদ্দিন কামরানের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাড়ি ফেরেন। পরে ওই দিন রাতে আবার সিলেট যাওয়ার জন্য কে বা কারা একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, আহাদের এক রাজনৈতিক সহকর্মী তাকে সিলেট যাওয়ার জন্য ফোন দিয়েছিল।

নিহত আহাদের সহকর্মী আরেক প্রবাসী জানান, প্রবাসে থাকা অবস্থায় দলীয় গ্রুপিংয়ে একাধিকবার দলের অন্য গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। এর কারণে হয়তো এ ঘটনা ঘটতে পারে।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সিলেট সিটি সেন্টারের সামনে একদল যুবক হঠাৎ আহাদকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।