নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখার মুছেগুল কয়েছ আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিবির আহমদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের মালামাল চুরি, অনুমতিবিহীন বিক্রি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত মামলার পুনঃতদন্ত শুরু করছে মৌলভীবাজার সিআইডি পুলিশ। মঙ্গলবার ২ জুলাই বিকেলে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এসআই প্রিতেশ তালুকদার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের ব্যাপারে স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ২৭ জুলাই বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি আব্দুল জলিল প্রধান শিক্ষক শিবির আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পিবিআই মৌলভীবাজারকে নির্দেশ দেন। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর শরিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলার বাদি মনগড়া, কাল্পনিক ও আসামি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পক্ষপাতিত্ব মুলক প্রতিবেদন প্রদানের অভিযোগ তোলেন। এব্যাপারে গত ২৭ মে বাদি আব্দুল জলিল বিজ্ঞ আদালতে না-রাজি পিটিশন দাখিল করেন। বিজ্ঞ পিটিশনটি আমলে নিয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অসদোপায় অবলম্বন করে প্রধান শিক্ষক শিবির আহমদ ২০১৮ সালে মুছেগুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদান করেই নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্বশীলদের পরামর্শ না নিয়ে মনগড়াভাবে বিদ্যালয় চালান। ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক মারপিট, অশালিন আচরণ ও ছাত্রীদের শ্লীলতাহানীর মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত হন। ভুক্তভোগী অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক শিবির আহমদের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার পাননি। বেপরোয়া হয়ে তিনি বিদ্যালয়ের পুরাতন ইট, ডেস্ক-বে সহ বিভিন্ন মালামাল স্কুলের আশপাশের লোকজন বের হওয়ার আগেই ভোর ও সকালবেলা ঠেলাগাড়িতে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে সুবিধামতো সময়ে তা বিক্রি করেন।
সিআইডি পুলিশের এসআই প্রীতেশ তালুকদার জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তিনি মামলাটির পুনঃতদন্ত করছেন। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের ব্যাপারে বাদির মানিত স্বাক্ষীসহ ১০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। অধিকতর তদন্তের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট আরো অনেকের সাথে কথা বলবেন। পুনঃতদন্ত শেষ হলে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিবেন।